
কলকাতায় আসছেন মেসি। কলকাতার ফুটবল প্রেমীদের কাছে এর থেকে ভাল খবর আর কিছু নয়। কিন্তু সেই মেসি যখন কলকাতায় এলেন তখন এক অদ্ভূত খারাপ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হল শহরবাসী। যুবভারতীতে তৈরি হল বিশৃঙ্খল একটা পরিবেশের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সেখানে গিয়ে সংবর্ধিত করার কথা থাকলেও সেই অনুষ্ঠান আর হয়নি। কিন্তু যে মেসিকে দেখার জন্য সাধারণ দর্শকরা খরচ করলেন অন্তত ৩ হাজার ৫০০ টাকা। কী পেলেন তাঁরা?
মেসির গোট ট্যুরের টিকিটের সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩ হাজার টাকার মতো। যা পরবর্তীতে বাড়ানো হয়। সাধারণ মেসিভক্তের কাছে সেই টাকাও অনেকটা আর সেই কারণেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দর্শকরা। অনেকে তো ‘স্ক্যান ২০২৫’ বলেও তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
এক ব্যক্তি ৩ হাজার ৩৩৮ টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলেন। তিনি বলছেন, “এক ঝলকও মেসিকে দেখতে পাইনি। অরূপ বিশ্বাসকে দেখলাম ভালভাবে সেলফি তুলতে। মনে হচ্ছিল মেসির জায়গায় অরূপ বিশ্বাসকে নিয়ে প্রোগ্রাম হচ্ছে।” এ ছাড়াও কেউ ৪ হাজার, কেউ ৫ হাজার আবার কেউ ১০ হাজার টাকা দিয়েও টিকিট কেটেছিলেন। একজন জানালেন তিনি টিকিট কেটেছিলেন প্রায় ৩০ হাজার টাকা দিয়ে। কিন্তু আজ সকলেই নিজের প্রতারিত বলে মনে করছেন।
সূত্রের খবর, সর্বোচ্চ টিকিটের দাম ছিল প্রায় ৩০ হাজার টাকার আশেপাশে। কিন্তু এই সাধারণ ৩ হাজারের টিকিট, আর ৩০ হাজারের টিকিটের মধ্যে কী পার্থক্য? মাঠে যা ঘটছে দুই ব্যক্তিই সেই একই জিনিস দেখতে পাবেন। অর্থাৎ, সাধারণ চোখে এই দুই টিকিটের তেমন কোনও পার্থক্য নেই। কিন্তু পার্থক্য রয়েছে গ্যালারি থেকে মাঠ দেখার অভিজ্ঞতায় ও পারিপার্শ্বিক অবস্থায়। যেমন সবচেয়ে কম টাকা দামের টিকিট পাওয়া যায় লোয়ার টায়ারে। আর সর্বোচ্চ দামের যে টিকিট ছিল সেই টিকিট থাকলে আপনি গিয়ে বসতে পারতেন ভিআইপি গ্যালারিতে। যেখান থেকে মাঠটা বেশ স্পষ্ট দেখা যায়। আবার লোয়ার টায়ারের মতো সামনে লোহার জাল দেওয়াও থাকে না।
অর্থাৎ, মেসিকে দেখার অভিজ্ঞতায় কোনও পার্থক্য থাকার কথা ছিল না ৩ হাজার ও ৩০ হাজার টাকার টিকিটিধারীর কাছে। যদিও সব শেষে সেই পার্থক্য রইলও না। কারণ, দু’জনের কেউই মেসিকে দেখতেই পাননি।