কলকাতা: ‘গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’ এ বার প্যারিসে। যে প্যারিস ছিল আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসির (Lionel Messi) অতীতের ঠিকানা। সেই প্যারিসেই এ বার যেতে চান মেসি। পিএসজি ক্লাবের হয়ে খেলতে অবশ্য নয়, বরং এলএম টেন জানিয়েছেন, তিনি এ বারের প্যারিস অলিম্পিকে খেলতে চান। আর্জেন্টিনার (Argentina) বিশ্বজয়ী অধিনায়ক মেসির বয়স ৩৬। তিনি আর কতদিন খেলা চালিয়ে যাবেন তা ঠিক নেই। অলিম্পিকে ফুটবল টিমে অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলারদের খেলার নিয়ম রয়েছে। সঙ্গে ৩জন যে কোনও বয়সী ফুটবলারও খেলতে পারেন। সেখানেই মেসির খেলার সুযোগ থাকছে। কিছুদিন আগে আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ জানিয়েছিলেন, মেসি অলিম্পিকে খেলতে চাইলে তাঁর জন্য দরজা সব সময় খোলা। অবশ্য আর্জেন্টিনা প্যারিস অলিম্পিকের (Paris Olympics 2024) মূল পর্বে কোয়ালিফাই করলে দ্বিতীয় বার অলিম্পিকে সোনার স্বাদ পেতে পারেন মেসি।
আর্জেন্টাইন রেডিও আউটলেট ডি স্পোর্টস রেডিওর খবর অনুযায়ী, লিওনেল মেসি এ বারের প্যারিস অলিম্পিকে খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। শুধু মেসিই নন, তাঁর সঙ্গে ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিকে আর্জেন্টিনাকে সোনা জেতানো অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকেও প্যারিস অলিম্পিকে দেখা যেতে পারে। প্যারিস অলিম্পিক শুরু হবে ২৬ জুলাই থেকে। তা চলবে ১১ অগস্ট অবধি। ফুটবলের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শুরু হয়ে যাবে ২৪ জুলাই থেকে। যা চলবে ৩০ জুলাই অবধি। এবং ফাইনাল ম্যাচ হওয়ার কথা ৯ অগস্ট।
২০০৮ সালের অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন লিওনেল মেসি। সে বার ফাইনালে নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে একমাত্র গোল করেছিলেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। ২১ বছর বয়সে অলিম্পিকে সোনা জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন মেসি। এ বার তাঁর কাছে সুযোগ থাকছে অলিম্পিকে দ্বিতীয় সোনা জেতার। আর তেমনটা হলে, লিওনেল মেসি হবেন বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার যিনি অলিম্পিকে জোড়া সোনা এবং বিশ্বকাপ জয়ের নজির গড়বেন। কেরিয়ারের একেবারে শেষে এসে সত্যিই মেসি অলিম্পিক খেলতে চান, অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। অবশ্য পুরোটাই নির্ভর করছে আর্জেন্টিনা প্যারিস বিশ্বকাপের মূল পর্বে ওঠে কিনা তার ওপর।