
দোহা : কাতার বিশ্বকাপে শেষ আটে আর্জেন্টিনা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিওনেল মেসির দল। নকআউটের ম্যাচ, নিঃসন্দেহে ডু-অর-ডাই। অধিনায়ক মেসির জন্য এই ম্যাচটি বিশেষ ছিল। কেরিয়ারের এক হাজারতম ম্যাচে নেমেছিলেন লিও মেসি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি। শুরুর আধ ঘণ্টা কোনও গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। অবশেষে মাইলফলকের ম্যাচে মেসি ম্যাজিক। বক্সের ডান দিকে ফ্রি-কিক। সেই মুভ থেকেই গোল। বিশ্বকাপের মঞ্চে নবম গোল। সংখ্যায় ছাপিয়ে গেলেন কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনাকে। পঞ্চম তথা শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নামা মেসি এই প্রথম নকআউটের ম্যাচে গোল করলেন। ম্যাচের পর লিও মেসি যা বললেন, তুলে ধরল TV9Bangla।
কেরিয়ারের হাজারতম ম্যাচ। যদিও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২-১’র নাটকীয় জয়ের পর আর্জেন্টিনা অধিনায়ক মন্তব্য় করলেন, মাইলফলকের বিষয়টি তাঁর মাথাতেই ছিল না! সাংবাদিক সম্মেলনে মেসি বলেন, ‘আমি ম্যাচের পরই জানতে পারি, এটি আমার হাজারতম ম্যাচ ছিল। আমি বর্তমানে থাকতে ভালোবাসি। দল হিসেবে যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তাতে আমি খুশি। প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করছি। কোয়ার্টার ফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করতে পেরে ভালো লাগছে। আরও একটা ধাপ পেরোলাম।’
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২-০ এগিয়ে থাকা অবস্থাতেও আরও বেশ কিছু গোলের সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। যদিও একঝাঁক সুযোগ নষ্ট হয়। এতেই চাপ বাড়ে। নাটকীয় হয়ে দাঁড়ায় শেষ দিকটা। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার ক্রেগ গুডউইনের শট আর্জেন্টিনার জালে জড়ায়। যদিও সেটি এনজো ফার্নান্ডেজের গায়ে লেগেছিল। শেষ অবধি আত্মঘাতী গোল দেয় ফিফা। স্কোর লাইন ২-১ হওয়ার পর জোড়া সুযোগ নষ্ট করেন লাওতারো মার্টিনেজ। ৭ মিনিটের অ্যাডেড টাইমে স্নায়ুর চাপ সামলে রাখা দায় হয়ে পড়েছিল। বক্সের মধ্যে থেকে অজি ফুটবলার কুওলের নেওয়া শট অনবদ্য দক্ষতায় বাঁচিয়ে দেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। নয়তো অতিরিক্ত সময়েও গড়াতে পারত ম্যাচ। কঠিন লড়াই করতে হয়েছে, ম্যাচ শেষে স্বীকার করলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়কও। সাংবাদিক সম্মেলনে মেসি আরও বলেন, ‘একটা কঠিন ম্যাচ জিতলাম। সামনে আরও একটা কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে। বিশ্বকাপের এই পর্যায়ে কঠিন লড়াই হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে লক্ষ্য পূরণের পথে আরও একটা ধাপ এগোতে পেরে ভালো লাগছে।’