
কলকাতায় লিওনেল মেসি। ১৩ ডিসেম্বর রাতেই শহরে আসছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। আর তাঁর সঙ্গে আসছেন উরুগুয়ের ফুটবলার লুই সুয়ারেজ ও আর্জেন্তাইন তারিকা রদ্রিগো ডি’পল। শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর শীতের রোদ মেখে যুবভারতীতে মেসিকে দেখতে উন্মুখ হয়ে আছে শহরবাসী।
জানা গিয়েছে, লেকটাউনে মেসির যে মূর্তি তৈরি করা হয়েছে, হোটেল থেকে ভার্চুয়ালি সেই মূর্তির উদ্বোধন করবেন তিনি। আর তারপরই তিনি চলে যাবেন যুবপভারতীতে। আর সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা জানানোর পর হবে ‘মেসির ফুটবল ক্লিনিক’। এমনকি বাচ্চাদের সঙ্গে মেসিকে ফুটবল খেলতে দেখা গেলেও অবাক হবে না। জানা গিয়েছে, ২০ জন বাচ্চাদের ফুটবলের পাঠও শেখাবেন ফুটবলের রাজপুত্র।
এই ২০ জনের মধ্যে থাকার কথা রিষড়ার অভিষেক প্রসাদের। রিষড়া বালক সমিতিতে অনুশীলন করে অভিষেক। বাবা জুট মিলের কর্মচারী। মা আগে সেলাইয়ের কাজ করতেন। অভিষেক জানিয়েছে, ঈশ্বরকে কাছ থেকে দেখতে পেয়ে সবার আগে সে তাঁকে সটান প্রণাম করবে। অভিষেক একা নন, যে ২০ জন ক্ষুদে ফুটবলার মেসির ফুটবল ক্লিনিকে অংশ নেবে, তাদের বেশিরভাগই গরীব ঘরের ছেলে। বেঙ্গল ফুটবল অ্যাকাডেমি, উত্তরপাড়া ফুটবল অ্যাকাডেমি, রিষড়া বালক সমিতি থেকে এসেছেন তাঁরা।
আগামী ১৩ তারিখ চোখের সামনে আসবেন ফুটবল ঈশ্বরের বরপুত্র। আর তার ঠিক আগেই তাঁরই ক্লাস করার জন্য যুবভারতীতে বল নিয়ে নিজেদের ঝালিয়ে নিল প্রত্যেক ক্ষুদে। কারও বাবা মাছ বিক্রেতা, কারও বাবা প্যান্ডেলের কাজ করেন। আবার অভিষেকের বাবা কাজ করেন রিষড়ার জুট মিলে। স্বপ্ন আকাশছোঁয়ার, স্বপ্ন মেসি হওয়ার। তাঁদের স্বপ্নের উপর ভর করে কতটা এগিয়ে যায় ভারতীয় ফুটবল, সেটাই এখন দেখার।