Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kiss Scandal: চুমু বিতর্কে নয়া মোড়, গোপন সাক্ষ্যে আরও ফাঁসলেন স্পেনের ছাঁটাই হওয়া প্রেসিডেন্ট!

Spanish Football: পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে ফিফা কী রায় দেয়, সে দিকেই তাকিয়ে ফুটবল বিশ্ব। লুইসকেই দায়ী করা হয়েছে। ফিফার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলছে যে দেশ, সেই দেশের ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেশাদারিত্ব দেখানো উচিত ছিল। ম্যাচের সময় ও পরে যে মনোভাব তিনি তুলে ধরেছিলেন, তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যা ঘটিয়েছেন, তা সমর্থনযোগ্য নয়। ওই ঘটনার নেতিবাচক প্রভাবে ফিফার ভাবমূর্তিরও ক্ষতি করেছে। সেই সঙ্গে মেয়েদের ফুটবল, মেয়েদের যে কোনও খেলাতেও ছাপ পড়েছে।'

Kiss Scandal: চুমু বিতর্কে নয়া মোড়, গোপন সাক্ষ্যে আরও ফাঁসলেন স্পেনের ছাঁটাই হওয়া প্রেসিডেন্ট!
লুইস রুবায়ালেসImage Credit source: ছবি: X
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2023 | 2:10 PM

মাদ্রিদ: চুমু বিতর্কে নয়া মোড়। শুধু জেনি হার্মোসোই নন, মেয়েদের বিশ্বকাপের মঞ্চে আরও একজনকে চুমু খেয়েছিলেন স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট লুইস রুবায়ালেস। মেয়েদের বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্পেন। পুরস্কার মঞ্চে হাজির ছিলেন লুইস। সাফল্যের আতিশয্যে নাকি ইচ্ছে করে জেনিকে চুমু খেয়েছিলেন কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক এখনও থামেনি। বিতর্কের জেরে অবশ্য স্প্যানিশ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন লুইস। ফিফার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তদন্তও শুরু করে দিয়েছিল। তাতেই বেরিয়ে এসেছে নতুন তথ্য। যাতে রীতিমতো চমকে গিয়েছে ফুটবল বিশ্ব।

বুধবারই ফিফার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে জানা গিয়েছে, শুধু জেনি নন, ইংল্যান্ডেরও এক ফুটবলারকে নাকি অনুমতি ছাড়াই চুমু খেয়েছিলেন লুইস। তার সাক্ষী ছিলেন ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ডেবি হুইট। তিনি গোপন সাক্ষ্যে জানিয়েছেন, ট্রফি সেরিমনির সময় ইংল্যান্ডের ফুটবলার লুসি ব্রোঞ্জকে চুমু খেয়েছিলেন লুইস। অনুমতি যে নেননি, তারই সাক্ষী দিয়েছেন ডেবি। লুইসের ঠিক পাশে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য তিনি পুরো ঘটনাটা দেখেছিলেন নিজের চোখে। জেনির পাশাপাশি লরাকে চুমু খাওয়া দৃষ্টিকটু বলেই মনে হয়েছে ডেবির। যা তিনি বলেছেন, ‘দেখে মনে হয়েছিল, খানিকটা জোর করেই লুসিকে চুমু খাচ্ছেন লুইস।’

পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে ফিফা কী রায় দেয়, সে দিকেই তাকিয়ে ফুটবল বিশ্ব। লুইসকেই দায়ী করা হয়েছে। ফিফার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলছে যে দেশ, সেই দেশের ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেশাদারিত্ব দেখানো উচিত ছিল। ম্যাচের সময় ও পরে যে মনোভাব তিনি তুলে ধরেছিলেন, তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যা ঘটিয়েছেন, তা সমর্থনযোগ্য নয়। ওই ঘটনার নেতিবাচক প্রভাবে ফিফার ভাবমূর্তিরও ক্ষতি করেছে। সেই সঙ্গে মেয়েদের ফুটবল, মেয়েদের যে কোনও খেলাতেও ছাপ পড়েছে।’

ফিফার এই রিপোর্টের পর লুইস যে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়লেন, তাতে আর সন্দেহ কী! শুরুতে যাবতীয় অভিযোগ ভুল, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করলেও লুইস এখন আর বেরিয়ে আসার রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না। ফুটবল দুনিয়া তাঁকে আর মাঠে দেখতে চাইছে না।