UEFA Champions League : অপ্রতিরোধ্য ম্যান সিটি, রিয়ালকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে হালান্ডরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: তিথিমালা মাজী

May 18, 2023 | 11:57 AM

সিটিকে স্বপ্নের ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার পিছনে অনবদ্য অবদান বার্নার্দো সিলভার। আর্লিং হালান্ড, ডি ব্রুইনদের উপস্থিতিতেও ম্যান সিটিকে ফাইনালে তোলার নায়ক হয়ে গেলেন তিনিই।

UEFA Champions League : অপ্রতিরোধ্য ম্যান সিটি, রিয়ালকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে হালান্ডরা
Image Credit source: Twitter

Follow Us

ম্যাঞ্চেস্টার : ‘ম্যান সিটি যেন আগেভাগে গোল দেয়। যাতে ম্যাচে কামব্যাক করার সময় পাই।’ ইতিহাদে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের আগে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আন্সেলোত্তি এই কথাগুলোই বলেছিলেন (Manchester City vs Real Madrid)। বিপক্ষের ম্যানেজারের কথা মতো আগেভাগে গোল দিয়েছিল সিটি। কিন্তু রিয়ালের কামব্যাক আর হল কই! শুধু আগে গোল করাই নয়, পুরো ম্যাচ জুড়ে ছিল বার্নার্দো সিলভাদের দাপট। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফাইনালে (Champions League) উঠল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। এদিন ইতিহাদে ৪-০ গোলে আন্সেলোত্তির টিমকে বিধ্বস্ত করে জিতেছেন হালান্ডরা। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে দাপটের সঙ্গে ইস্তানবুলের টিকিট পেয়ে গিয়েছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল। দলের জয়ের দিন অনবদ্য ‘সেঞ্চুরি’ কোচ গুয়ার্দিওলার। তৃতীয় কোচ হিসেবে ১০০টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ জয়ের নজির তাঁর ঝুলিতে। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।

সিটিকে স্বপ্নের ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার পিছনে অনবদ্য অবদান বার্নার্দো সিলভার। আর্লিং হালান্ড, ডি ব্রুইনদের উপস্থিতিতেও ম্যান সিটিকে ফাইনালে তোলার নায়ক হয়ে থাকলেন তিনিই। প্রথমার্ধে করলেন জোড়া গোল। সেটাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিল। তাঁর গোলে পিছিয়ে পড়া রিয়াল কামব্যাকের আর সুযোগ পেল না। বাকি দুটি গোল ম্যানুয়েল আকাঞ্জি ও আলভারেজের। ২৩ মিনিটে স্টোনসের পাস থেকে প্রথম গোল সিলভার। মিনিট ১৫-র মধ্যেই ব্যবধান করেন দ্বিগুণ। ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটের দিকে তাকালে রিয়ালকে খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। ৮০ শতাংশ বল ছিল সিটির দখলে। বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল। থিবো কুর্তোয়ার সৌজন্যে ২-০ ব্যবধানে সন্তুষ্ট থেকে বিরতিতে যেতে হয় তাঁদের।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রিয়াল গোল পেতে পারত। কোনও রকমে ডেভিড আলাবার শট ক্রসবারের উপর দিয়ে বাইরে পাঠান এডারসন। রিয়াল এই সময় খানিকটা হলেও মরিয়া চেষ্টায় ছিল খেলা দখলে নেওয়ার। ম্যাচের ফেরার। উল্টে ৭৬ মিনিটে তৃতীয় গোল পেয়ে যায় ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। ডি ব্রুইনের ফ্রি-কিকে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন মিলিতাও। এ দিনের ম্যাচে হালান্ডকে গোলের মুখ দেখতে দিলেন না কুর্তোয়া। অন্তত তিনবার হালান্ডের নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে দেন তিনি। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেক পোঁতেন আলভারেজ। ফাইনালে ম্যান সিটির প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলান। ইস্তানবুলের ফাইনাল জিতে এক মরসুমে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের কৃতিত্ব গড়তে পারেন আলভারেজ।

Next Article