Santosh Trophy Final: কেরলের বিরুদ্ধে সন্তোষ ফাইনালে বদলা নিতে চাইছেন মনোতোষ-প্রিয়ন্তরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Apr 30, 2022 | 6:43 PM

বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফি জেতার অভিজ্ঞতা আছে মনোতোষ চাকলাদারের। ৪ বছর আগে ফাইনাল হারের জ্বালা তাঁকে এখনও তাড়া করে।

Santosh Trophy Final: কেরলের বিরুদ্ধে সন্তোষ ফাইনালে বদলা নিতে চাইছেন মনোতোষ-প্রিয়ন্তরা
কেরলের বিরুদ্ধে সন্তোষ ফাইনালে বদলা নিতে চাইছেন মনোতোষ-প্রিয়ন্তরা

Follow Us

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়

চার বছর পর আবার সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে (Santosh Trophy Final) বাংলা। সামনে সেই কেরল। চার বছর আগে যুবভারতীতে যে কেরলের কাছে ফাইনালে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাংলার। এ বারও গ্রুপ পর্বে কেরলের কাছে হেরেছে রঞ্জন ভট্টাচার্যের টিম। সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে তাই কেরলের বিরুদ্ধে বাংলার বদলার ম্যাচ। চার বছর আগে সেই ফাইনাল হারের জ্বালা এখনও ভুলতে পারেননি মনোতোষ চাকলাদার (Manotosh Chakladar)। এ বার তিনিই দলের অধিনায়ক। তাই বাড়তি জেদ নিয়েই মাঠে নামতে চান। সন্তোষের বাংলা দলকে ঘিরে তৈরি হয়েছে একরাশ প্রত্যাশা। ফুটবলাররাও তৈরি ফাইনাল জিতে শহরে ফিরতে। কেরল থেকেই টিভি নাইন বাংলাকে সাক্ষাৎকার বাংলার ফুটবলারদের।

বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফি জেতার অভিজ্ঞতা আছে মনোতোষ চাকলাদারের। ৪ বছর আগে ফাইনাল হারের জ্বালা তাঁকে এখনও তাড়া করে। কোচি থেকে ফোনে বাংলার অধিনায়ক বললেন, ‘প্রতিশোধের ম্যাচ তো বটেই, একই সঙ্গে বাংলার ফুটবলকে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনাও আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। আইএসএল কিংবা আই লিগে বাঙালি ফুটবলারের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। বাংলার ফুটবলের উন্নতিতে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। আর তার জন্য প্রয়োজন এই খেতাবটা। সবাই ফার্স্ট বয়কে মনে রাখে, সেকেন্ড বয়কে কেউ মনে রাখে না। তাই সবাইকে এটাই বলছি, চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরতে পারলে তার কদরই আলাদা।’

বাংলার গোলকিপার প্রিয়ন্ত এ বার দলের আসল কাণ্ডারী। মেঘালয়ের বিরুদ্ধে পেনাল্টি সেভ না করলে, বাংলার হয়তো ফাইনালে ওঠাই হতো না। সেমিফাইনালেও মণিপুরের বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফর্ম করেছেন প্রিয়ন্ত। ম্যাচের সেরাও হয়েছিলেন। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে গত বারের রানার্স পঞ্জাবের বিরুদ্ধে গোলের তলায় চমৎকার খেলেছিলেন। বেশ কয়েকটা নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। না হলে বাংলার শুরুটাই ভালো হত না। এই প্রিয়ন্তের কাছেই আবার সন্তোষ ট্রফি খানিকটা অভিশাপের মতো। ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শাপমুক্তি ঘটাতে চান প্রিয়ন্ত।

বাংলার গোলকিপার বলছিলেন, ‘সাত বছর আগে সন্তোষ ট্রফি খেলার সময় বাবাকে হারিয়েছিলাম। টুর্নামেন্টের মাঝপথেই বাড়ি ফিরে যাই। এ বারও পঞ্জাব ম্যাচের পর মা অসুস্থ আইসিইউতে ভর্তি হয়। প্রথমে বাড়ি থেকে কিছু বলেনি। মেঘালয় ম্যাচেই সবটা জানতে পারি। আবারও সেই ভয় তাড়া করে বেড়াচ্ছিল। তবে মা এখন বাড়ি ফিরে এসেছে। তাই কিছুটা স্বস্তিতে।’ প্রিয়ন্তের পাশে সর্বদা থেকেছেন তাঁর স্ত্রী। এ বারও তার অন্যথা হল না। প্রিয়ন্ত বললেন, ‘আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের সন্তানসম্ভবা। এই সময় স্ত্রীকে ফেলে সন্তোষ ট্রফি খেলতে আসতে চাইছিলাম না। কিন্তু ওই আমাকে জোর করে সন্তোষে খেলতে পাঠাল।’

আরও পড়ুন: Santosh Trophy: সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে বাংলা

Next Article
Santosh Trophy: সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে বাংলা
Santosh Trophy: কুঁড়ি থেকে ফুল হয়ে ফুটতে চান মহিতোষ, ফারদিনরা