কলকাতা ফুটবলে ইতিহাস। বাংলা ফুটবলে উচ্ছ্বাসের রাত। এ মরসুমেই ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে মহমেডান স্পোর্টিং। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের পর দেশের শীর্ষ সারির লিগে মহমেডানের অন্তর্ভূক্তি বাংলা ফুটবলের জন্য দুর্দান্ত খবর বয়ে এনেছিল। আইএসএল অভিষেকে প্রথম ম্যাচে ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে নেমেছিল মহমেডান স্পোর্টিং। ভালো ফুটবল খেললেও স্নায়ুর চাপ সামলাতে পারেনি। ইনজুরি টাইমে গোল খেয়ে হার দিয়ে অভিযান শুরু হয়েছিল। এ দিন এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও ড্র। এই ম্যাচেও গোল ইনজুরি টাইমেই।
ম্যাচের ৬৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন অ্যালেক্সিস গোমেজ। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে গোলের খাতা খোলে অভিষেককারী মহমেডান স্পোর্টিং। ক্লাবের ইতিহাসে আইএসএলের প্রথম স্কোরার হিসেবে নাম লেখান ১০ নম্বর জার্সির অ্যালেক্সিস। এফসি গোয়ার অভিজ্ঞ গোলকিপার কাট্টিমানির বিরুদ্ধে পেনাল্টি নেওয়া সহজ ছিল না। মাথা ঠান্ডা রেখে পেনাল্টি কিক অ্যালেক্সিসের। গ্যালারিতে উচ্ছ্বাস। ৭০ মিনিট অবধি আধডজন শট টার্গেটে রেখেছিল মহমেডান স্পোর্টিং। যার মধ্যে একটি গোল।
একটি গোল পাওয়ার পর আরও আত্মবিশ্বাসী ফুটবল মহমেডানের। অল্পের জন্য স্কোরশিটে আরও একটি গোল যোগ করতে পারেনি সাদা-কালো ব্রিগেড। ৬টি শট সেভ করেছেন এফসি গোয়া গোলরক্ষক কাট্টিমানি। এর থেকেই যেন পরিষ্কার ধারনা করা যায়, মহমেডান স্পোর্টিং আক্রমণ ভাগ কতটা মরিয়া চেষ্টা করেছে।
ম্যাচে ৬ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়টুকু কাটিয়ে দিতে পারলেই প্রথম জয়। কিন্তু ইনজুরি টাইমে (৯০+৪) আকাশের ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডারে গোল আর্মান্দো সাদিকুর। ম্যাচ শেষের মাত্র ২ মিনিট আগে গোল খেয়ে ২ পয়েন্ট হাতছাড়া। তবে টুর্নামেন্ট যত এগচ্ছে, মহমেডান স্পোর্টিংয়ের পারফরম্যান্সে যে ধার বাড়ছে, এ কথা বলাই যায়।