দুর্গাপুর: সোম সকালে আচমকাই বিশাল পুলিশবাহিনী দুর্গাপুরে মোহনবাগানের (Mohun Bagan) সেইল (SAIL) অ্যাকাডেমিতে। অবাক করার মতো ছবি। সেইল অ্যাকাডেমিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হল তালা। ভেঙে ফেলা হল মোহনবাগান ফুটবল অ্যাকাডেমির ফলক। চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ভাসুম-শুভ ঘোষ-দীপক টাঙরিদের আঁতুরঘর এখন অতীত।
২০০২ সালে সেইলের দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অধীনস্থ টেগোর হাউসে পথ চলা শুরু করেছিল মোহনবাগান সেইল ফুটবল অ্যাকাডেমি। লক্ষ্য ছিল ভারতবর্ষের জাতীয় দল বিশ্বকাপ ফুটবলের মূলপর্বে অংশগ্রহণ করবে। এই লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারলেও দেশের প্রথম সারির ক্লাব ফুটবলে খেলতে দেখা গেছে এই অ্যাকাডেমির ফুটবলারদের। ২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে অ্যাকাডেমি বন্ধ হয়ে যায়। ফের অ্যাকাডেমি শুরু করার চেষ্টাও বিফলে যায়। ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে করোনার কারণে। দুর্গাপুরের টেগর হাউসে এই ফুটবল অ্যাকাডেমিতে ছিল আধুনিক জিমনাসিয়াম সহ সাতাশটি কক্ষ। এছাড়াও টেগর হাউসের ময়দান ও নেহরু স্টেডিয়ামে অনুশীলন করত খেলোয়াড়রা। দেশ বিদেশ বিভিন্ন ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সাফল্য পেয়েছে দল।
দুর্গাপুরের মোহনবাগান ফুটবল অ্যাকাডেমিতে এখনও রয়েছে কয়েকশো ট্রফি । এছাড়াও রয়েছে ফুটবল খেলার বহু সরঞ্জাম। চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে সেইলের দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ অ্যাকাডেমিতে তিনবার নোটিস দেয়। অভিযোগ এই নোটিসের জবাব দেয়নি মোহনবাগান কর্তারা।
সোমবার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার টাউন সার্ভিস সিআইএসএফ ও দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে দখল নেয় অ্যাকাডেমি। ভেঙে দেওয়া হয় মোহনবাগান সেইল ফুটবল অ্যাকাডেমির ফলকও।
আরও পড়ুন: India Hockey: ৩ মাস পর মাঠে ফিরছেন মনপ্রীতরা