
ইস্টবেঙ্গল-১ (হামিদ ৩৭) : মোহনবাগান-১ (আপুইয়া ৪৭)
(টাইব্রেকারে ৫-৪ জয়ী মোহনবাগান)
এ যেন ২২ বছর আগের অ্যাকশন রিপ্লে! ২০০৩ সালের কাহিনি ফিরে দেখা যুবভারতীর। সে বার টাইব্রেকারে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে আইএফএ শিল্ড জিতেছিল মোহনবাগান। ২২ বছরের অপেক্ষার অবসান। সেই ইস্টবেঙ্গলকে টাইব্রেকারে হারিয়েই শিল্ড জিতল সবুজ মেরুন। নির্ধারিত সময়ের ফলাফল ছিল ১-১। খেলা গড়ায় এক্সট্রা টাইমে। তাতেও গোলের দরজা খুলতে পারেননি কেউ। শিল্ড ফাইনাল গড়ায় টাইব্রেকারে। শেষ পর্যন্ত ৫-৪ গোলে টাইব্রেকারে মুঠোয় নেয় মোহনবাগান। সব মিলিয়ে লাল-হলুদের বিরুদ্ধে ৬-৫ ব্যবধানে জয় সবুজ-মেরুনের।
খেলার শুরুটা কিন্তু অন্যরকম ছিল। ৩৭ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। বাঁদিক থেকে একাই বল নিয়ে উঠেছিলেন মহেশ। বক্সে বাড়ান তীক্ষ্ণ নিচু পাস। মোহনবাগানের দুই ডিফেন্ডার যা আটকাতে পারেননি। ব্যর্থ হন বাগান কিপার বিশালও। ফাঁকায় থাকা হামিদ বল জালে জড়িয়ে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিলেন লহমায়। বিতরির বাঁশি বাজার ঠিক আগে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। ডানদিক থেকে সাহালের ভাসানো বল রিসিভ করেছিলেন লিস্টন। কিন্তু আপুইয়ার শট বারে লেগে ড্রপ খেয়ে বেরিয়ে আসে। বিতর্ক জন্ম নেওয়ার আগেই লাইন্সম্যান ইঙ্গিত করেন, বল গোললাইন পেরিয়ে গিয়েছে। টিভি রিপ্লে-তেও তাই দেখা যায়। প্রথমার্ধ যদি মোহনবাগানের হয়, দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি গোলের সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গল। যা কাজে লাগাতে পারেনি অস্কার ব্রুজোর দল।
টাইব্রেকার সব সময় উত্তেজনার। রোমাঞ্চকর। আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে সেটাই দেখা গেল যুবভারতীতে। গোলকিপার প্রভসুখনের বদলে ইস্টবেঙ্গল কোচ নামান গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদারকে। অতীতেও টাইব্রেকারে জিতিয়েছেন দলকে। কিন্তু এবার সেটা করে দেখাতে পারলেন না। ইস্টবেঙ্গলের মিগুয়েল টাইব্রেকারের প্রথম কিকটাতেই ১-০ করে আত্মবিশ্বাস দিয়ে যান দলকে। পাল্টা রবসন ১-১ করেন ঠিকই, তবে দেবজিতের হাতে বল লাগলেও ঢুকে যায় গোলে। কেভিনের পা থেকে ২-১, মনবীর ২-২, মহেশ সিং ৩-২, লিস্টন ৩-৩ করেন। দুটো দল সমানে-সমানে এগোচ্ছিল। ঠিক তখনই বিশাল কাইথের চমক। জয় গুপ্তার কিক আটকে দেন বিশাল কাইথ। জয় যে ডানদিকে নেবেন কিকটা, আগেই বুঝে গিয়েছিলেন। এর পর কার্যত শিল্ড জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। ১২৫তম আইএফএ শিল্ড ফাইনাল
চলতি মরসুমের শিল্ডের ফাইনাল ছিল তৃতীয় ডার্বি। আগের দুটো ডার্বিতে জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানের কাছে এটা ছিল বদলার। ২০১৮ সালে শিল্ডের ফাইনালে দুই দল মুখোমুখি হলেও সেটা ছিল যুব দলের ডার্বি। ট্রফি জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। ওটাই ছিল লাল-হলুদের শেষ আইএফএ শিল্ড। সব মিলিয়ে ২৯বার শিল্ড জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। আর মোহনবাগান ২১তম শিল্ড জিতল।