কলকাতা: এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে গিয়ে গুরুতর চোট পান আনোয়ার আলি। আপাতত বেশ কয়েকদিন মাঠের বাইরে বাগানের তারকা ডিফেন্ডার। আনোয়ারের ছিটকে যাওয়া নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা মোহনবাগানে (Mohun Bagan) । এ মরসুমে সবুজ-মেরুন রক্ষণকে শুরু থেকেই ভরসা দিচ্ছিলেন আনোয়ার। এএফসি কাপের ম্যাচে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তেই আশঙ্কা দেখা দেয় বাগান শিবিরে। বাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দোর (Juan Ferrando) কপালেও বেড়েছে চিন্তার ভাজ। যদিও মুখে তিনি এ কথা বলছেন না। ফেরান্দো বলছেন, পরিবর্ত ফুটবলার তাঁর হাতে রয়েছে। তবে আনোয়ারের ছিটকে যাওয়া যে এই মুহূর্তে বড় ক্ষতি তা ভালোই টের পাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
বুধবার জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ মোহনবাগানের। আইএসএলে তিন ম্যাচে নয় পয়েন্ট দিমিত্রিদের ঝুলিতে। আইএসএল এবং এএফসি কাপ- একাধারে দুটো টুর্নামেন্ট খেলতে হচ্ছে সবুজ-মেরুনকে। এমনকি লিগের ম্যাচের মাঝেও থাকছে অনেকটা সময়। এতে কি ফোকাস করতে অসুবিধা হচ্ছে? ফেরান্দোর উত্তর, ‘পুরো বিষয়টাই ফেডারেশনের হাতে। ওরা যেরকম সূচি দিচ্ছে আমরা সেই মতো খেলছি। তবে আমার মতে, লিগের ম্যাচ ঘনঘন হলেই সুবিধা।’
৫ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের সাত নম্বরে রয়েছে জামশেদপুর এফসি। বিপক্ষের রক্ষণকে গুরুত্ব দিচ্ছেন ফেরান্দো। শেষ দুটো ম্যাচে অবশ্য জয়ের মুখ দেখেনি ইস্পাতনগরী। আনোয়ারের পরিবর্তে সুমিত রাঠিকে রক্ষণে খেলানোর কথা ভাবছে টিম ম্যানেজমেন্ট। কোচ ফেরান্দো বলছেন, ‘আমার দলে কেউ অপরিহার্য নয়। প্রত্যেক ফুটবলারই তৈরি মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দিতে। কে আছে, কে নেই সেটা ভেবে লাভ নেই। ম্যারাথন লিগে যে কেউ চোট পেতে পারে। কার্ড সমস্যাও হতে পারে। আমাদের সব কিছুর জন্য তৈরি থাকতে হবে। আনোয়ার অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ও সর্বক্ষণ আমাদের পর্যবেক্ষণে আছে। ফিট হলেই দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবে।’ চোটের যা পরিস্থিতি তাতে কমপক্ষে ১ মাস হয়তো মাঠের বাইরে থাকতে হবে বাগানের তারকা ডিফেন্ডারকে। গোলের মধ্যে আছেন দিমিত্রি পেত্রাতোস, কামিংস, সাদিকুরা। আক্রমণ মোহনবাগানের প্রধান অস্ত্র। কোচ ফেরান্দো বরাবরই আক্রমণাত্মক ফুটবলে জোর দেন। সেটাকে হাতিয়ার করেই জামশেদপুরের ডেরা থেকে তিন পয়েন্ট তুলে ঘরে ফিরতে চায় মোহনবাগান।