Jeje Lalpekhlua: ফুটবল আর রাজনীতিতে ফারাক নেই, বলছেন দুই প্রধানে খেলা জেজে

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায় | Edited By: দীপঙ্কর ঘোষাল

Dec 04, 2023 | 5:20 PM

Mizoram Assembly Elections 2023: ভারতীয় ফুটবলে একসময় আলোড়ন ফেলে দেওয়া জেজে লালপেখলুয়া এবার বিধায়ক। মিজোরামের নির্বাচনে সেখানকার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে হারিয়ে দিয়েছেন সুনীল ছেত্রীর একসময়ের পার্টনার। দেশের জার্সিতে হোক কিংবা ক্লাবের জার্সিতে। বিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছেন একাধিকবার। রাজনীতির ময়দানে অভিষেকেও এ বার বিপক্ষের জাল ছিঁড়লেন জেজে লালপেখলুয়া। মিজোরামের জোরাম পিপলস মুভমেন্ট দলের হয়ে দক্ষিণ টুইপুই বিধানসভার নির্বাচনে দাঁড়ান জেজে।

Jeje Lalpekhlua: ফুটবল আর রাজনীতিতে ফারাক নেই, বলছেন দুই প্রধানে খেলা জেজে
Image Credit source: X

Follow Us

কলকাতা: ফুটবল থেকে রাজনীতির ময়দানে পদার্পণ। বাইচুং ভুটিয়া, ইউজেনসন লিংডো, সোমাতাই সাইজা বা সোসো। এমনকি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের বর্তমান সভাপতি কল্যাণ চৌবেও একসময় নির্বাচনে লড়েন। নির্বাচনের জুতোতে পা গলিয়েছিলেন বাংলার দীপেন্দু বিশ্বাস, রহিম নবিরাও। ভারতীয় ফুটবলে একসময় আলোড়ন ফেলে দেওয়া জেজে লালপেখলুয়া এ বার বিধায়ক। মিজোরামের নির্বাচনে সেখানকার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে হারিয়ে দিয়েছেন সুনীল ছেত্রীর একসময়ের পার্টনার। দেশের জার্সিতে হোক কিংবা ক্লাবের জার্সিতে। বিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছেন একাধিকবার। রাজনীতির ময়দানে অভিষেকেও এ বার বিপক্ষের জাল ছিঁড়লেন জেজে লালপেখলুয়া। মিজোরামের জোরাম পিপলস মুভমেন্ট দলের হয়ে দক্ষিণ টুইপুই বিধানসভার নির্বাচনে দাঁড়ান জেজে। এমএনএফ নেতা ডক্টর আর লালথাংলিয়ানাকে হারিয়ে দেন প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

ফুটবলের ময়দানের মতো নির্বাচনী ময়দানেও টেনশন ছিল। মিজোরাম থেকে টিভি নাইন বাংলাকে সাক্ষাৎকারে জানান জেজে লালপেখলুয়া। বললেন, ‘চিন্তামুক্ত হলাম। ভীষণ টেনশনে ছিলাম। ফুটবল আর রাজনীতিতে কোনও তফাৎ নেই। ওখানেও ম্যাচের আগে একটা টেনশন হত। তবে মাঠে নামার সময় সেই টেনশন ভুলে যেতাম। এখানেও একটা টেনশন কাজ করছিল। মানুষ ভরসা রেখেছে। তাই মানুষের ভরসার দাম দিতে চাই।’

ভারতীয় ফুটবল দাপিয়ে বেড়ালেও, রাজনীতির ময়দানে প্রথমবার। জেজের উত্তর, ‘ফুটবলেও তো রাজনীতি হয়। আমাদের তো ছোট থেকে সেগুলোকেও জিততে হয়েছে। একের পর এক লড়াই জিতে উপরের স্তরে উঠতে হয়। তার মধ্যেও থাকে অনেক ক্লাবের কর্তাদের রাজনীতি। তাই ফুটবল আর রাজনীতিতে কোনও ফারাক নেই। বরং ফুটবল খেলার সময় অনেক বেশি চাপ নিতে হয়েছিল। অনেক বেশি লড়াই করতে হয়েছিল। ভোটে জিততে সেই চাপ নিতে হয়নি।’

রাজনীতির মঞ্চ হঠাৎ কেন বেছে নিলেন? জেজে বলেন, ‘গ্রামে একবার একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি কত মানুষ অভুক্ত। একদিন কাজ না করলে তাদের খাবার জোটে না। ওদের দেখেই রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত নিই। ওই অভুক্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমাদের দল জোরাম পিপলস মুভমেন্ট বেকারত্ব ঘোচাতে চায়। সাধারণ মানুষের জন্য লড়তে চায়। তাদের জন্য কাজ করতে চায়। সবাই নিজেদের দল নিয়ে ভাবে। কিন্তু জেপিএম মানুষের কথা ভাবে।’ ভোটে জিতে জেজে বলছেন, ‘ভগবানের সাহায্য পেয়েছি। তাই জিতেছি। মানুষ ভরসা রেখেছে। তাই মানুষের জন্যই এ বার ভাবতে চাই।’ সকাল থেকেই শুভেচ্ছাবার্তায় ভাসছেন। বিভিন্ন ফুটবলাররা শুভেচ্ছা জানান জেজেকে।

Next Article