Mohun Bagan vs East Bengal Highlights: কলকাতা ডার্বি ফুলটাইম: মোহনবাগান ২-২ ইস্টবেঙ্গল

প্রতি ডার্বিই জন্ম দেয় নতুন কোনও তারকার। ইস্টবেঙ্গলে এই ডার্বিতে সেই তারকা হয়ে উঠলেন অজয় ছেত্রী। মোহনবাগানের নায়ক পেত্রাতোস। বিস্তারিত পড়ুন: অজয়ের ‘গুরুদক্ষিণা’, পেত্রাতোসের নজরে ডার্বি অতীত!

ইন্ডিয়ান সুপার লিগই শুধু নয়, ভারতীয় ফুটবলে রেফারিং নিয়ে অসন্তোষ দীর্ঘ সময়ের। বিস্তারিত পড়ুন: রুদ্ধশ্বাস ডার্বি ড্র, দু-দলের কোচের মুখেই আক্ষেপ

দু-বার পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন মোহনবাগানের। পাঁচ বছর পর ডার্বি ড্র। আইএসএলের ডার্বিতে প্রথম বার পয়েন্ট পেল ইস্টবেঙ্গল। বিস্তারিত পড়ুন: দু’বার পিছিয়ে পড়েও ডার্বিতে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, হাবাসের হাসি রাখলেন পেত্রাতোস

ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ডার্বি হারের হতাশা থামল ইস্টবেঙ্গলের। এই প্রথম আইএসএল ডার্বি থেকে পয়েন্ট পেল লাল-হলুদ। তবে দু-বার এগিয়ে থেকেও এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়াটা ইস্টবেঙ্গলের কাছে হতাশার হতেই পারে।

ক্যাপ্টেন ক্লেটন সিলভার কর্নার। গোলের মুভ তৈরি হল, বারবার আটকে গেল ইস্টবেঙ্গল। কাউন্টার অ্যাটাকে মোহনবাগানও উঠেছিল। কোনওরকমে বিপদ কাটল ইস্টবেঙ্গলেরও।

নন্দকুমারের পাশ থেকে সাহালের ক্রস, লালচুননুঙ্গার ডিফ্লেকশনে বল পান দিমিত্রি পেত্রাতোস। জোরালো শটে গোল। ৮৭ মিনিটে স্কোর লাইন ২-২ করলেন পেত্রাতোস।

রেফারির সঙ্গে তর্কের জন্য ক্লেটনকে হলুদ কার্ড। এরপর ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার কোচকেও কার্ড দেখালেন রেফারি রাহুল গুপ্ত।

বিষ্ণু-নন্দ-বংশপাল। দুর্দান্ত একটা মুভ। পরিবর্ত হিসেবে নামা বংশপালের কাছে সুযোগ ছিল ইস্টবেঙ্গলের লিড বাড়ানোর। যদিও গোলে শট রাখতে পারলেন না।

নাওরেম মহেশের চোট। যদিও মাঠে দীর্ঘ সময় তাঁর চিকিৎসা চলায় ক্ষুব্ধ মোহনবাগান শিবির। ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে থাকায় সময় নষ্টের ‘অভিযোগ’। মহেশের জন্য মাঠে স্ট্রেচার। মাঠ ছাড়ছেন মহেশ। পরিবর্তে ভিপি সুহের। অজয় ছেত্রীর জায়গায় বংশপাল। দীপক টাংরির জায়গায় রাঠি। অনিরুদ্ধর জায়গায় মোহনবাগানে জেসন কামিংস।

দুর্দান্ত খেলেছেন সায়ন ব্যানার্জি। হলুদ কার্ডও দেখেছিলেন। তাঁকে তুলে নিলেন কার্লেস। জোড়া পরিবর্তন। নীশু কুমারের জায়গায় মন্দারকে নামানো হল।

ব্রেন্ডন হ্যামিলকে তুলে নিলেন হাবাস। তাঁর পরিবর্তে গ্ল্যান মার্টিন্স। আনোয়ার না থাকায় এমনিতেই চাপ ছিল মোহনবাগানে। অজয় ছেত্রীর ট্যাকলেই চোট পেয়েছিলেন হ্যামিল। মাঠে নামার কিছুক্ষণের মধ্যেই হলুদ কার্ড দেখে চাপ বাড়ালেন গ্ল্যান।

নাওরেম মহেশকে অযথা ফাউল। তাঁর ঘাড়ের উপর উঠে পড়েন দীপক টাংরি। ৫৫ মিনিটে পানেনকা কিকে গোল ক্লেটনের। জন্মদিনে গোল ইস্টবেঙ্গল ক্যাপ্টেনের।

হাফটাইমে পরিবর্তন। মনবীরকে নামালেন আন্তোনিও হাবাস। কিয়ান নাসিরির পরিবর্তে মনবীর। তাঁকে ফাউল করে চাপে ছিলেন নীশু। যদিও কার্ড দেখানো হয়নি। ফ্রি-কিক মোহনবাগানের। ব্রেন্ডনকে বিপজ্জনক ট্যাকল অজয় ছেত্রীর। হলুদ কার্ডেই রক্ষা পেলেন।

শুরুতেই গোল ইস্টবেঙ্গলের। সমতা ফেরায় মোহনবাগান। প্রথমার্ধে বেশ কিছু চাপের পরিস্থিতি তৈরি হল দু-দলের কাছেই। স্কোরলাইন ১-১ থাকল। দ্বিতীয়ার্ধে আরও রুদ্ধশ্বাস খেলার অপেক্ষা। ছবি রাহুল সাধুখাঁ

ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ। দুর্দান্ত মুভ। মোহনবাগান বক্সে যেন কিছুক্ষণের ঝড় বয়ে গেল। যদিও স্কোর লাইনে বদল হয়নি। মহেশ-নন্দকুমার, পারদো। একের পর এক মুভ।

ম্যাচের আগের দিনও নন্দকুমারকে নিয়ে হুঙ্কার দিয়ে রেখেছিলেন সুভাশিস। বারবার সমস্যায় ফেলার চেষ্টা নন্দকুমারের। তাঁকে আটকানোর মরিয়া চেষ্টায় হলুদ কার্ড দেখলেন মোহনবাগান অধিনায়ক সুভাশিস। এখন কিছুটা হলেও সতর্ক থাকতে হবে।

ম্যাচের ১৮ মিনিটেই পরিবর্তন! কোনও চোট মনে হচ্ছে না। তবে সাউল ক্রেসপোর বদলে সায়ন ব্যানার্জিকে নামালেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। নাওরেম মহেশের সঙ্গে ট্যাকলে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখলেন কিয়ান নাসিরি।

হ্যামিলের সেন্টার। ভলিতে গোল আর্মান্দো সাদিকুর। ডার্বির উন্মাদনার পারদ চড়ছে। মোহনবাগান সমর্থকরা যেন বলতেই পারেন গেম ইজ অন!

চোট সারিয়ে দীর্ঘদিন পর ফিরেছেন আনোয়ার। নন্দকুমারকে আটকাতে গিয়ে চোট আনোয়ারের। আপাতত মাঠের বাইরে আনোয়ার। চিন্তু বাড়ছে মোহনবাগান শিবিরে। ১৩ মিনিটে তাঁকে পুরোপুরি বাইরে যেতে হল। এই ম্যাচ তাঁর কাছে শেষ। পরিবর্ত হিসেবে নামলেন অমনদীপ। মাত্র ১৯ বছর অমনদীপের। এএফসি কাপে খেলেছিলেন।

ম্যাচের ৯ মিনিটে ক্লেটনের কর্নার। হিজাজি উঠে এসেছিলেন। এ মরসুমে গোলও রয়েছে এই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের। তবে কর্নার ক্লিয়ার করে দেন কিয়ান নাসিরি। পরের মুহূর্তেই নন্দকুমার ও সাউল ক্রেসপো জুটিতে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল।

ম্যাচের ৬ মিনিটে আক্রমণে উঠছিল মোহনবাগান। দুর্দান্ত মুভ। কিন্তু গোলের সুযোগ তৈরি হল না। ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে ১-০ ব্যবধানে।

নাওরেম মহেশ দু-বার ওঠার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁকে জোড়া ফাউল করা হয়। তৃতীয় বার আক্রমণে উঠলেন। পরিস্থিতি দেখে বল পাস করলেন নীশু কুমারকে। তাঁর মাপা ক্রস। তরুণ ফুটবলার অজয় ছেত্রীর দুর্দান্ত ফিনিশ। ৩ মিনিটেই ১-০ এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল।

ডার্বি ডে। যুবভারতীয় ক্রীড়াঙ্গন আজ স্টেডিয়াম অব জয়। শেষ অবধি জয়ের হাসি কোন দলের মুখে, তারই লড়াই শুরু। ম্যাচের শুরুতেই ব্রেন্ডন হ্যামিল কড়া ট্যাকল করলেন নাওরেম মহেশকে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তাঁকে ফের ট্যাকল সুভাশিসের।

প্রতিপক্ষ কোচের নাম হাবাস। নতুন দায়িত্বে প্রথম ম্য়াচ। সুতরাং, পরিস্থিতি অনুযায়ী ভাবতে হয়। হাবাসকে সমীহ করি। দু-বার আইএসএল জিতেছে। আমরা সুপার কাপ জিতেছি ঠিকই, তবে এটাও জানি, আইএসএলে কখনও মোহনবাগানের বিরুদ্ধে এক পয়েন্টও পায়নি ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের আগে বলছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত।

মোহনবাগানের দায়িত্ব নিয়েছেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। প্রথম ম্যাচই ডার্বি। হাবাস কিন্তু কোনওদিন ডার্বি হারেননি। বিস্তারিত পড়ুন: হাবাসের হুঙ্কার, ‘আমি কোনওদিন ডার্বি হারিনি’

কলিঙ্গ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠছে। মাঠের পারফরম্যান্সেও কি সেই বারুদ দেখা যাবে? বিস্তারিত পড়ুন: ‘এ বার আমাদের সমর্থকরাও…’, কার্লেসের কথায় বারুদ লাল-হলুদে

আইএসএলে এ মরসুমের প্রথম ডার্বি মোহনবাগানের হোম ম্যাচ। টিকিট বন্টন নিয়ে অখুশি ইস্টবেঙ্গল। বিস্তারিত পড়ুন: টিকিট মেলেনি, ডার্বি দেখতে মাঠে যাচ্ছেন না ইস্টবেঙ্গল কর্তারা!

চোট সারিয়ে দীর্ঘ দিন পর ফিরছেন মোহনবাগানের তরুণ ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি। প্রথম একাদশে আর কারা রয়েছেন? দেখে নিন:

ডার্বিতে শুরু থেকে কোন একাদশ নামাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল? কলিঙ্গ সুপার কাপের ফাইনালে জোড়া হলুদ তথা রেড কার্ড দেখে এই ম্যাচে নেই সৌভিক চক্রবর্তী। দেখে নিন ইস্টবেঙ্গলের একাদশ:

মরসুমের চতুর্থ ডার্বির জন্য প্রস্তুত তো? কী পরিস্থিতি দু-দলের। দেখুন ও পড়ুন:

এ মরসুমের চতুর্থ। তবে এ বারের আইএসএলের প্রথম ডার্বি। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচ প্রিভিউ পড়ুন বিস্তারিত: আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বে ‘প্রত্যাবর্তন’ এবং ‘প্রথম’ জয়ের ডার্বি

ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক ক্লেটন সিলভার জন্মদিন। আর সেই দিনেই কলকাতা ডার্বি। তাঁর জন্য সেরা উপহার কী হতে পারে, আন্দাজ করাই যায়। তবে রাস্তা খুবই কঠিন। ডার্বি ডে-তে সমস্ত আপডেটের জন্য নজর রাখুন এই লিঙ্কে।