
কলকাতা: ভাস্কো দা গামার কাছে লজ্জার ৬ গোল হজম। তার জেরে যে কোচের চাকরি যাবে, এ তো জানা কথা। হয়েওছে তাই। ম্যাচের পরই কোচ স্লেবার জেভিয়ার পদত্যাগ করেছেন। তারপরও যে বিস্ময় কাটছে না। পেলে যে ক্লাবে খেলেছেন, সেই ক্লাব হাফডজন গোল খাবে ব্রাজিলের লিগে, অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। সবচেয়ে বড় কথা হল, নিজের পুরনো ক্লাবে ফিরেছেন নেইমার। তিনি মাঠে থাকলেও লজ্জার হার বাঁচাতে পারেননি স্যান্টোসের। ম্যাচের পর যে ছবি ভাইরাল তা হল, কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়ছেন নেইমার। আগামী বছর বিশ্বকাপ। চোট আঘাতে জর্জরিত নেইমার একেবারেই ছন্দে নেই। তারকা আদৌ ব্রাজিল টিমে জায়গা করে নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও উঠে গিয়েছে প্রশ্ন।
মরসুমের শুরু থেকেই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সাও পাওলোর ক্লাব। ১৯ ম্যাচ খেলে জয় এসেছে মাত্র ৬টাতে। ৩টে ড্র। ১০টা হার। পয়েন্ট টেবলের তলানিতে থাকা স্যান্টোস এখন ভুগছে অবনমনের আতঙ্কে। তা যদি হয়, স্যান্টোসের ইতিহাসে সবচেয়ে লজ্জার দিক হয়ে থাকবে। ক্লাবের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, জেভিয়ার গত এপ্রিলে দায়িত্বে নিয়েছিলেন দলের। দলকে সাহায্য করার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ।
বার্সেলোনাতে মেসির পাশে খেলা নেইমার একসময় পিএসজিতে চলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে সই করেন সৌদি প্রো লিগের নামী ক্লাব আল হিলালে। কিন্তু চোটের কারণে খেলতেই পারেননি। সেখান থেকে স্যান্টোসে ফেরেন নেইমার। ছেলেবেলার ক্লাবে তাঁর ফিরে আসা নিয়ে উৎসব পালন হয়েছে একসময়। এখন সেই তাঁকে নিয়েই চলছে চরম বিতর্ক ও সমালোচনা। ভাস্কোর ফিলিপ কুটিনহো জোড়া গোল করেন।
ম্যাচে এমন লজ্জার হারের পর আর চুপ করে থাকতে পারেননি নেইমার। তিনি বলেছেন, ‘জঘন্য ফুটবল খেলেছি আমরা। বিরাট অসম্মান। সমর্থকদের আমাদের ধিক্কার জানানোর অধিকার রয়েছে। আর সেটা হলে আমাদের গ্রহণ করতেই হবে। এই হার কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। লজ্জাজনক। এমন হার আমার ফুটবল জীবনে কখনও হয়নি।’
Neymar left the pitch in tears after Santos suffered a 6-0 humiliation to Fernando Diniz’s Vasco da Gama.
This was the biggest defeat in his career. pic.twitter.com/i2aDUOXqfN
— Ginga Bonito 🇧🇷 (@GingaBonitoHub) August 17, 2025