Neymar Red Card: ক্লাব ফুটবলে ফিরেই লাল কার্ড নেইমারের, জিতল পিএসজি
PSG: মার্কুইনোস যেখানে গোল করেছেন, তাহলে আর পেনাল্টির কী প্রয়োজন! সেই গোল থেকেই জিততে পারত পিএসজি। রেফারি যদিও পেনাল্টির সিদ্ধান্তেই অনড় থাকেন। পেনাল্টি নেন নেইমার। বিশ্বকাপের মতোই ঠান্ডা মাথায় পেনাল্টি থেকে পিএসজির জয়সূচক গোলটি করেন এমবাপে।
প্যারিস : কাতার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায়। হতাশার বিশ্বকাপ কাটিয়ে ক্লাবে ফিরেছেন ব্রাজিলের ফুটবলাররাও। তারকা স্ট্রাইকার নেইমারের শুরুটা ক্লাবেও ভালো হল না। বিশ্বকাপের পর প্রথম ম্যাচ। আর প্রথম ম্য়াচেই লাল কার্ড দেখলেন ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার নেইমার। লিগ ওয়ানে স্ট্রসবার্গের বিরুদ্ধে নেমেছিল পিএসজি। আর এই ম্যাচে প্রথমে হলুদ কার্ড। পরে প্রতিপক্ষ বক্সে ডাইভের জন্য দ্বিতীয় হলুদ তথা রেড কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হল পিএসজি স্ট্রাইকার নেইমারকে। পিএসজি অবশ্য ম্য়াচটা জিতল। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
লিগ ওয়ানে স্ট্রসবার্গকে ২-১ ব্য়বধানে হারায় পিএসজি। আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ১০ জনে খেলল পিএসজি। জিতলও। ম্য়াচে ব্রাজিলের কার্যত জোড়া হতাশা। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিলেন কাতারে গোল্ডেন বুট জয়ী কিলিয়ান এমবাপে। পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার জোড়া গোল করলেন। একটি আত্মঘাতী গোল। পিএসজিকে এগিয়ে দিলেন, আবার স্ট্রসবার্গের সমতা ফিরল তাঁর আত্মঘাতী গোলেই। নেইমার, এমবাপে, হাকিমি, মার্কুইনোস বিশ্বকাপ খেলে ক্লাব ফুটবলের দ্বিতীয় পর্ব জয় দিয়েই শুরু করলেন। জয়ের আনন্দে কিছুটা ভাটা পড়ল নেইমারের রেড কার্ডে।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে মার্কুইনোসের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। প্রথম গোলে ভূমিকা নিলেন নেইমার। ব্রাজিলের জুটিতেই এগিয়ে যায় পিএসজি। নেইমারের ফ্রি-কিক থেকে প্রতিপক্ষ ডিফেন্সের মার্কারকে ছাপিয়ে হেডে গোল করেন মার্কুইনোস। ১-০ এগিয়ে বিরতিতে যায় পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই হতাশা। মার্কো ভেরাত্তিকে কাটিয়ে অনবদ্য ক্রস থমাসনের। মার্কুইনোসের ডিফ্লেকশনে বলের দিক পরিবর্তন হয়। পিএসজির গোলকিপার ডোনারুমার পক্ষে তা আটকানো সম্ভব হয়নি। শেষ টাচ মার্কুইনোসের হওয়ায় আত্মঘাতী গোল দেওয়া হয়। তাঁর গোলেই সমতা ফেরায় স্ট্রসবার্গ।
ম্যাচের ৬১ মিনিটে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন নেইমার। প্রতিপক্ষ থমাসনের দৌড় থামাতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন নেইমার। মুহূর্তের ব্য়বধানে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। ফরাসি তারকা এমবাপের থ্রু পাস ধরতে দৌড়েছিলেন নেইমার। যদিও তাঁকে আটকে দেন জিকু। ক্লিয়ার ট্যাকল করেন বলে। নেইমার পড়ে গিয়ে পেনাল্টির আবেদন করেন। যদিও নেইমারের সঙ্গে জিকুর কোনও টাচই হয়নি। ডাইভিং এবং পেনাল্টির আবেদনে ক্ষুব্ধ রেফারি উল্টে নেইমারকেই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড তথা রেড কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন। বেশ কিছুক্ষণ রেফারির সঙ্গে বচসা চলে নেইমারের। ১০ জনের পিএসজিকে সামলাতেও হিমসিম খাচ্ছিল স্ট্রসবার্গ।
ম্য়াচের ইনজুরি টাইমে বল নিয়ে প্রতিপক্ষ বক্সে উঠছিলেন এমবাপে। বিশ্বকাপে তাঁর দৌড় থামাতে হিমসিম খেয়েছে প্রতিপক্ষের বাঘা বাঘা ডিফেন্ডাররা। বক্সের মধ্যেই তাঁকে ফাউল করেন নায়ামসি। মার্কুইনোস ফিরতি বলে গোল করে উচ্ছ্বাসে ভেসে ওঠেন। রেফারির চোখ এড়ায়নি এমবাপেকে করা ফাউল। তিনি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পিএসজি প্লেয়াররা রেফারিকে ঘিরে ধরেন। মার্কুইনোস যেখানে গোল করেছেন, তাহলে আর পেনাল্টির কী প্রয়োজন! সেই গোল থেকেই জিততে পারত পিএসজি। রেফারি যদিও পেনাল্টির সিদ্ধান্তেই অনড় থাকেন। পেনাল্টি নেন নেইমার। বিশ্বকাপের মতোই ঠান্ডা মাথায় পেনাল্টি থেকে পিএসজির জয়সূচক গোলটি করেন এমবাপে।