
প্রথম বার ডুরান্ড কাপ খেলতে নেমেই ফাইনাল। ডায়মন্ড হারবার এফসি আরও বড় ইতিহাস তাড়া করছিল। অভিষেকেই যদি চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায়? সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলেছে ডায়মন্ড হারবার এফসি। গ্রুপ পর্বে একটি মাত্র হার। সেটা ঐতিহ্য়শালী মোহনবাগানের কাছে। সেমিফাইনালে কলকাতা তথা দেশের অন্যতম সফল ক্লাব ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ফাইনালের মঞ্চে মরিয়া লড়াই করলেও যথেষ্ট ছিল না। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের কাছে হার। ডুরান্ড অভিষেকে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল ডায়মন্ড হারবার এফসিকে।
ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে স্কিলের পাশাপাশি অভিজ্ঞতা এবং স্নায়ুর চাপ সামলানোর মতো দক্ষতাও প্রয়োজন। আর তা তৈরি হয় বড় মঞ্চে খেলেই। ডায়মন্ড হারবারের সেই অভিজ্ঞতা তৈরি হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডও দীর্ঘ অপেক্ষার পরই গত মরসুমে প্রথম বার ট্রফির স্বাদ পেয়েছিল। এ বার শুরু থেকে ভালো খেলছিল। যদিও ফাইনালের পথে মোহনবাগান কিংবা ইস্টবেঙ্গলের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে পড়তে হয়নি। সেই অর্থে বলতে গেলে ডায়মন্ড হারবার তাদের কাছে সহজ প্রতিপক্ষ। আর নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের ৬-১ ব্যবধানে জয় যেন সেটাই বলে।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই ২-০ এগিয়ে যায় নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন ছিল কিবু ভিকুনার ডায়মন্ড হারবারের কাছে। একদিকে গোল খাওয়া আটকাতে হবে, অন্যদিকে গোল শোধও করতে হবে। কিন্তু রাস্তা কঠিন হল দ্বিতীয়ার্ধে। আরও এক গোল করে চাপ বাড়ায় নর্থ ইস্ট। লুকা মাচেনের সৌজন্যে এক গোল শোধ করে ডায়মন্ড হারবার এফসি। তাতে অবশ্য হারের ব্য়বধান কমানো যায়নি। নর্থ ইস্টের স্প্যানিশ স্ট্রাইকার জাইরো দ্রুতই স্কোর লাইন ২-১ করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ৫-১ করে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি।
অ্যাডেড টাইমে ডায়মন্ড হারবারের লক্ষ্য দাঁড়ায় যদি কোনও ভাবে ব্যবধান কমানো যায়। চেষ্টাও করেছে। নর্থ ইস্ট তখন শুধুই সময় গোনার পথে। আর কয়েকটা মিনিট পেরোলেই চ্যাম্পিয়ন। ডিফেন্স মজবুত করাই প্রাথমিক লক্ষ্য দাঁড়ায় তাদের কাছে। মাত্র ৪ মিনিট অ্যাডেড টাইমে বিরাট কোনও অঘটন না হলে খেতাব হাতছাড়া হওয়ার কারণ ছিল না তাদের কাছে। কোনও অঘটন হয়ওনি। উল্টে ইনজুরি টাইমে পেনাল্টি আদায় করে নেয় নর্থ ইস্ট। স্পট কিক থেকে আলাদিনের গোলে ৬-১ করে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড।