
সাও পাওলো: ব্রাজিল শেষবার বিশ্বকাপ জিতছিল ২০০২ সালে। কোরিয়া-জাপানে হওয়া সেই বিশ্বকাপে জুড়েই অসাধারণ ছন্দে ছিল লুই ফিলিপ স্কোলারির ছেলেরা। রোনাল্ডো, রিভাল্ডো, রোনাল্ডিনহো, রবার্তো কার্লোস কাফুর মতো যে সব ফুটবলাররা সেই দলের সদস্য ছিলেন, তাঁদের সকলেই অবসর নিয়ে অনেক বছর আগেই। এখন তাঁদের কে করেন, তার খোঁজ দিল TV9 Bangla।
মার্কোস
২০০২ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের গোলরক্ষক ছিলেন মার্কোস। বিশ্বকাপের শুরু থেকে ফাইনাল অবধি সমস্ত ম্যাচে সব সময় মাঠে ছিলেন তিনি। সাত ম্যাচে মাত্র চারটি গোল হজম করেছেন তিনি। বর্তমানে মার্কোসের বয়স ৪৯ বছর। এখন তিনি হিট (HIT) নামে একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ব্রান্ড অ্য়াম্বাসাডর।
কাফু
২০০২ ব্রাজিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক ছিলেন কাফু। ওই বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ডিফেন্সকে ভরসা জুগিয়েছেন তিনি। ব্রাজিলের হয়ে ১৪২টি ম্যাচ খেলে অবসর নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তাঁর বয়স ৫২ বছর। ২০১৯ সালে ছেলের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কাতার বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসাডর তিনি।
লুসিও
কাফু এবং মার্কেসের মতো লুসিও ২০০২ বিশ্বকাপের সমস্ত ম্যাচই ৯০ মিনিট খেলেছিলেন এই ডিফেন্ডার। বেশ কিছু ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন তিনি। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এফসি গোয়ার হয়েও কোচিং করেছেন তিনি।
রকি জুনিয়র
ডিফেন্ডার পজিশনে ব্রাজিল দলে খেলেছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে কোচিং শুরু করেন তিনি। ব্রাজিলের দ্বিতীয় ডিভিশনের কয়েকটি ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন তিনি। আগামী দিনেও কোচিং করানোর কথা জানিয়েছেন তিনি।
এডমিলসন
জাপান বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হয়ে ডিফেন্ডার এবং মিডফিল্ডার হিসাবে খেলেছেন তিনি। দুই পজিশনেই খেলতে দক্ষ ছিলেন এডমিলসন। ৪৬ বছরের এই ফুটবলার এখন অবসর নিয়েছেন। আমেরিকার এসবিটি ফুটবলে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় দেখা যায় তাঁকে।
রবার্তো কার্লোস
ব্রাজিলের ডিফেন্সের অন্যতম স্তম্ভ কার্লোস। ২০০২ বিশ্বকাপেও দুপন্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর বেশ কিছু ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন। ভারতেও এসে কোচিং করিয়েছেন তিনি। ২০২৬ মরক্কো ফুটবল বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসাডর হবেন তিনি।
গিলবার্তো সিলভা
২০০২ সালের বিশ্বকাপে মিডফিল্ডে ভরসা জুগিয়েছেন তিনি। খেলা ছাড়ার পর গ্রিসের একটি ক্লাবে দীর্ঘদিন কোচিং করিয়েছেন। বর্তমানে ফুচবল কনসালট্যান্ট হিসাবে কাজ করেন তিনি।
ক্লেবারসন
২০০২ সালের ব্রাজিলের এই মিডফিল্ডার এখন কোচিং করান। ফিলাডেলফিয়ার একটি অ্যাকাডেমিতে কোচিং করান তিনি।
রোনাল্ডিনহো
২০০২ বিশ্বকাপে রোনাল্ডিনহোর সঙ্গে পরিচয় হয় ফুচবল দুনিয়ার। এরপর ইউরোপ কাঁপিয়েছেন ব্রাজিলের আক্রমণ বিভাগের এই ফুটবলার। তবে অবসরের পর আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। পাসপোর্ট সমস্য়ায় জেলেও যেতে হয়েছিল তাঁকে। বর্তমানে নিজের তাঁর তৈরি করা ব্র্যান্ডের টিশার্ট বিক্রি করেন।
রিভাল্ডো
২০০২ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের আক্রমণের ভাগের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন তিনি। বিভিন্ন ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গোল করে ম্যাচের রং বদলে দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গেই বেশি সময় কাটান তিনি। তাঁর দুই সন্তান ফুটবলার হিসাবে নিজেদের গড়ে তুলেছেন।
রোনাল্ডো
২০০২ বিশ্বকাপে রোনাল্ডো-রিভাল্ডো জুটি ত্রাস হয়ে উঠেছিল। জার্মানির বিরুদ্ধে রোনাল্ডোর করা দুটি গোল ব্রাজিলকে শেষ বার চ্য়াম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ দিয়েছিল। খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন অনেক দিন আগেই। ২০১৮ সালে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল ভাল্লাদোলিদ ক্লাবের ৫১ শতাংশ শেয়ার কেনেন তিনি।
লুই ফিলিপ স্কোলারি
২০০২ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের কোচ ছিলেন তিনি। ব্রাজিলকে চ্যাম্পিয়ন করার পর পর্তুগাল, চেলসিতেও কোচিং করিয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালেও ব্রাজিল ফের কোচের দায়িত্ব দিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু ২০০২-এৎ সাফল্য ফেরেনি। ৭৩ বছরের স্কোলারি এখন ব্রাজিলের একটি ক্লাবের ম্যানেজার।