প্যারিস: জোড়া বিতর্কের মুখে পিএসজি (PSG- Paris Saint Germain)। লিওনেল মেসি (Lionel Messi), নেইমারের ক্লাবের প্রেসিডেন্ট সভাপতি নাসের আল-খেলাইফি (Nasser Al-Khelaifi) জড়িয়ে পড়লেন অপহরণ, অত্যাচারের ঘটনায়। যা নিয়ে তোলপাড় চলছে বিশ্ব ফুটবলে। প্যারিসের ক্লাবের প্রধানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগে খানিকটা হলেও বিব্রত টিমের ফুটবলাররাও। এতেই শেষ নয়, পিএসজির ফুটবলার আশরাফ হাকিমির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। ঠিক কী অভিযোগ খেলাইফির বিরুদ্ধে? বিস্তারিত জানুন TV9 Bangla-র প্রতিবেদনে।
কাতারের এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে খেলাফির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের তদন্ত করার জন্য ৩জন ফরাসি বিচারপতিকে নিয়োগ করা হয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কাতারের তায়েব বেনাবদেরামানকে নামের একজন প্রভাবশালী নেতাকে অপহরণ করার পাশাপাশি নির্যাতনও চালিয়েছেন পিএসজির প্রেসিডেন্ট খেলাইফি। অপহরণ, বন্দী করে রাখা, নির্যাতন চালানোর এই ঘটনা ঘটেছে প্রায় ছয়মাস ধরে। অপহরণের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি তায়েবের হতে চলে গিয়েছিল। সেগুলি প্রকাশ্যে আসুক চাননি খেলাইপি। যে কারণে অপহরণ করেন তায়েবকে।
সূত্রের খবর, কাতার বিশ্বকাপের আয়োজনের স্বত্ত্বাধিকার সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তায়েবের হাতে চলে গিয়েছিল। এমনকি বিইন মিডিয়াকে দেওয়া ২০২৬ থেকে ২০৩০ সালের টেলিভিশন সম্প্রচার অধিকার সংক্রান্ত কিছু গোপন নথিও পেয়ে যান তায়েব। ঘটনাচক্রে এই মিডিয়া হাউসটির প্রধান হিসেবেও নিযুক্ত হয়ে রয়েছেন আল খেলাইফি। তায়েবের উকিল বলেছেন, “বিষয়টি ফরাসি বিচারপতিদের তত্ত্বাবধানে আসায় আমরা খুশি। ওঁরা নিশ্চয়ই এর সঠিক তদন্ত করবেন।”
এ দিকে, নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ উড়িয়ে খেলাপি বলেছেন, “ওরা পেশাদার অপরাধী। নিজেদের বানানো গল্পের চেয়ে বেশি উকিল বদলেছে। বহু মানুষ আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সত্যি বলে মনে করছেন, এটা দেখে আমি অবাক। বিচার চলছে। সত্যি সামনে আসবেই। পেশাদার অপরাধীদের ব্যাপারে আমি এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না।”