কলকাতা: একটা সময় লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতো দুই মহাতারকার সঙ্গেই নাম উচ্চারিত হতো তাঁর। কিন্তু ধীরে ধীরে বাকি দু’জনের থেকে পিছিয়ে পড়লেন নেইমার দ্য সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র (Neymer)। ফুটবল প্রতিভায় কারও চেয়ে কম নন। ব্রাজিলিয়ান তারকা পিছিয়ে পড়লেন চোটপ্রবণতায়। ফুটবল বিশ্বকে বহু নামী ফুটবলার উপহার দিয়েছে ব্রাজিল। ফুটবলের তীর্থে জন্ম নেওয়ায় নেইমারের উপর প্রত্যাশার পাহাড় রয়েছে অনুরাগীদের। কিন্তু চোট আঘাত তাঁর স্বপ্নে বাধা হয়েছে বারবার। কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই পায়ে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। এ বার হাঁটুর চোটের কারণে পিএসজির (PSG) হয়ে মরসুম শেষ হয়ে গেল নেইমারের। অস্ত্রোপচারের পর কম করে ৪ মাস মাঠের বাইরে থাকবেন তিনি। এই খবরে মন ভেঙেছে অনুরাগীদের। আরও একটা চোটের হতাশা ঘিরে ধরেছে মেসি, এমবাপেদের সতীর্থকে। বিস্তারিত TV9 Bangla-য়।
চলতি মরসুমে পিএসজির হয়ে ফরাসি লিগে ১৩টি গোল এবং ১০টি অ্যাসিস্ট রয়েছে নেইমারের। পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থানে রয়েছে লিগ ওয়ানের সবচেয়ে সফল দলটি। এই নিয়ে একাদশ বার লিগ চ্য়াম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে পিএসজির। এছাড়া উয়েফা চ্য়াম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় লেগের ম্য়াচ রয়েছে পিএসজির। প্রথম লেগে বায়ার্নের কাছে ০-১ ব্যবধানে হেরেছেন লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপেরা। দ্বিতীয় লেগের লড়াইয়ের আগেই ছিটকে গিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই হতাশ নেইমার, তাঁর দল ও অনুরাগীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসার বার্তা দিয়েছেন। তাতেও হতাশার ছবিটা স্পষ্ট।
I’ll come back stronger ? pic.twitter.com/VBTH9MME02
— Neymar Jr (@neymarjr) March 6, 2023
পিএসজির হয়ে ২০১৭ সালে রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে গিয়েছিলেন নেইমার। তখন থেকে এযাবৎ শুধুমাত্র চোটের কারণে পিএসজির হয়ে ১০০-র বেশি ম্যাচ মিস করেছেন নেইমার। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মেটাটারসাল হাড় ভেঙে বিপত্তি ঘটে। ২০১৯ সালে একইভাবে চোট পেয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন নেইমার। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে ২০১৯-২০ মরসুম শুরু হতে দেরি হয়েছিল নেইমারের। ২০২০ সালে পাঁজরে চোট পান। সেইবছরের অক্টোবর-নভেম্বরে কোভিডের কবলে পড়েন। ২০২১ সালে গোড়ালির চোট, ফিটনেসের সমস্যায় ভুগেছেন। ২০২২ সালেও গোড়ালির চোট ভুগিয়েছে ব্রাজিলিয়ান তারকাকে। নতুন বছর শুরুর দুমাসের মধ্যে ফের চোটের জন্য চার মাস মাঠের বাইরে ছিটকে গেলেন নেইমার।