আল খোর : স্বস্তি না অস্বস্তি। জোড়া পরীক্ষার সামনে আজ কাতার। বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখেনি কাতার। মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশে এ বারই প্রথম বসতে চলেছে বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) আসর। প্রস্তুতি কতটা নিখুঁত হয়েছে, ব্যবস্থাপনার দিক থেকে কোন জায়গায় পৌঁছতে পেরেছে তারা। অনেকটাই খোলসা হবে কয়েক ঘণ্টার ব্য়বধানেই। আল খোর শহরের আল বায়াত স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে আয়োজক কাতার ও ইকুয়েডর (QAT vs ECU)। উদ্বোধনী ম্যাচে কোন কোন বিষয়ে নজর থাকবে, বিশ্লেষণে TV9Bangla।
মাঠের বাইরে নানা বিতর্ক রয়েছে। তার আঁচ কি কাতার ফুটবল দলেও পড়েছে? বোঝা যাবে তারা মাঠে নামলেই। ব্যবস্থাপনার দিক থেকে কোনও সমস্য়া রয়েছে কিনা, কী বিতর্ক হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে। সব ভুলে কাতার ফুটবল দলের নজর মাঠেই। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। পারফরম্যান্সের ছাপ ফেলতে মরিয়া কাতার ফুটবল দল। কাতার স্কোয়াডের বেশিরভাগ ফুটবলারই ক্লাব ফুটবলে খেলেন আল সাদ-এর হয়ে। একটা সময় এই ক্লাবের হয়ে খেলেছেন স্প্যানিশ তারকা জাভি। আল সাদের কোচের ভূমিকাতেও ছিলেন। কাতারের কোচ ফেলিক্স স্যাঞ্চেজও স্প্য়ানিশ। তাহলে কি কাতারের ফুটবল স্টাইলে স্পেনের ছাপ পাওয়া যাবে? প্রত্যাশার পাহাড় নিয়ে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে কাতার। তাঁদের ফুটবলের মান বিশ্বের বাকি দেশের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে কী না বা কাতার গ্রুপ পর্বের বাধা টপকাতে পারবে কী না সেটা নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। তবে যেটা নিয়ে প্রশ্ন সেটা বিশ্বকাপ কাতারকে দিতে চলেছে নতুন পরিচিতি। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলার অনুভূতিটা কাতার ফুটবলারদের থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।
এমন একটা স্বপ্নের মুহূর্তেও বিতর্ক যেন শেষ হইয়াও হয়নি শেষ। প্রথম ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর প্লেয়ারের দাবি, ম্যাচ ছেড়ে জন্য ঘুষ দিতে চেয়েছে কাতার! কোচ ফেলিক্স স্যাঞ্চেজ অবশ্য এ সব অভিযোগ তুরি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘এমন গুজব ছড়িয়ে কেউ আমাদের ফোকাস নাড়িয়ে দিতে পারবে না। এমন অনেক কিছুই রটছে। ইন্টারনেট খুবই কাজের জিনিস। আবার ইন্টারনেট খুব বিপজ্জনকও। তবে এমন ধরনের মন্তব্যে কেউ আমাদের লক্ষ্য়ভ্রষ্ট করতে পারবে না। আমরা এ সব নিয়ে ভাবছিই না। আমরা শুধুই ম্যাচে নজর দিতে চাই।’
অন্য দিকে, এ বারের বিশ্বকাপে ইকুয়েডরের অংশগ্রহণ নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে বিতর্কের মুখে পড়েছিল ইকুয়েডরও। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে কলম্বিয়ার এক ডিফেন্ডারকে মাঠে নামানোর। জাল পাসপোর্ট ও বার্থ সার্টিফিকেট ব্যবহার করে কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার ক্যাসিলোকে খেলানোর অভিযোগ উঠেছিল ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে ফিফা। বিতর্কিত ফুটবলার ক্যাসিলোকে বাইরে রেখেই বিশ্বকাপের মঞ্চে এসেছে ইকুয়েডর। ঘরের মাঠে কাতারের স্বপ্নের অভিষেক ভেস্তে দেওয়াই লক্ষ্য ইকুয়েডরের।