
দোহা: গত যুগ ধরে মেসি-রোনাল্ডো দ্বৈরথ উপভোগ করেছে ফুটবল বিশ্ব। রিয়াল মাদ্রিদে সিআর৭ এবং বার্সেলোনায় এমএল১০। এল ক্লাসিকো হলে বিশ্বের সমস্ত প্রান্তের ভক্তদের নজর থাকত সেই খেলায়। মেসি রোনাল্ডোর জন্যই স্পেনের দুই ক্লাবের লড়াই যে অন্য মাত্রা পেয়েছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু মেসি-রোনাল্ডোকে ঘিরে সেই উন্মাদনা এখন অতীত। রোনাল্ডোও রিয়াল ছেড়েছেন। মেসিও বিদায় জানিয়েছেন বার্সাকে। ফুটবলের দুই মহাতারকা নিজেদের পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে নামবেন কাতারে। বিশ্বকাপ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে TV9 Bangla তুলনামূলক আলোচনা করল এই দুই মহাতারকার বিশ্বকাপের পরিসংখ্যান নিয়ে।
ক্লাব ফুটবলে মেসি ও রোনাল্ডোর পরিসংখ্যান নিয়ে আলোচনা হয় বিস্তর। কার গোল বেশি, তো কে এগিয়ে অ্যাসিস্টে? চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কে বেশি সফল তো স্থানীয় লিগে কে? এই ধরনের বিভিন্ন পরিসংখ্যান নিয়ে দুই তারকার ভক্তরা নিজেদের মধ্যে তর্কে অবতীর্ণ হন। কিন্তু মেসি ও রোনাল্ডোর মধ্যে বিশ্বকাপে কে বেশি সফল। তা সরাসরি বলাটা একটু কঠিন কাজ। কারণ, দুই মহাতারকার কেউই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পাননি। বিশ্বকাপের ওই সোনালি ট্রফি হাতে নিয়ে উচ্ছ্বাস করার সৌভাগ্য হয়নি দুজনেরই।
কাতারের আগে মেসি এবং রোনাল্ডো দুজন্ই খেলেছেন চারটি বিশ্বকাপ। ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে অভিষেক হলে ছিল এমএল১০ এবং সিআর৭ এর। এর পর ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০১৪ সালে ব্রাজিল এবং ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলেছেন তাঁরা। চারটি বিশ্বকাপে মেসি খেলেছেন ১৯টি ম্যাচ। সেখানে চারটি বিশ্বকাপে রোনাল্ডো খেলেছেন ১৭টি ম্যাচ। তবে গোলের নিরিখে মেসিকে পিছনে ফেলেছেন রোনাল্ডো। ১৭ ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানোর গোল ৭টি। সেখানে ১৯ ম্যাচে লিওনেলের গোল ৬টি। তবে চারটি বিশ্বকাপে রোনাল্ডো সতীর্থদের অ্যাসিস্ট করেছেন মাত্র ২টি। সেখানে মেসির অ্যাসিস্ট ৫টি। তবে ২০১০ সালের বিশ্বকাপে একটিও গোল করতে পারেননি মেসি। কিন্তু রোনাল্ডো সব বিশ্বকাপেই অন্তত একটি গোল করেছেন। দুজনই এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ চারটি গোল করেছেন। তবে মেসি ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছেন। কিন্তু রোনাল্ডোর দল পর্তুগাল কোনও বিশ্বকাপেরই ফাইনালে পৌঁছতে পারেনি। কাতার বিশ্বকাপে এই দুই তারকা কেমন পারফর্ম করেন, সে দিকে নজর রয়েছে বিশ্বের ফুটবল প্রেমীদের। কারণ এই বিশ্বকাপই সম্ভবত দুই মহাতারকার শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে। কাতার বিশ্বকাপের পর দুজনের দ্বৈরথে কে এগিয়ে থাকেন সেটাই এখন দেখার।