যত কাণ্ড কাঠমান্ডুতে নাকি নেপালে নাটক! যা কিছুই বলা যায়। কাঠমাণ্ডুতে চলছে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এ দিন দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন ভারত ও আয়োজক নেপাল। এই ম্যাচেই যত নাটক। সঙ্গীতা বাসফোরের গোলে এগিয়ে ছিল ভারত। শেষ অবধি চোখে জল নিয়ে মাঠ ছাড়তে হল। চূড়ান্ত অস্বস্তিকর পরিস্থিতি নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে। টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে আয়োজক নেপাল।
ম্যাচে সঙ্গীতার গোলে এগিয়ে ছিল ভারত। একটা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের মাঝে ছেদ পড়ে নেপালের ফুটবলারদের কারণে। রেফারির একটি সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি নেপাল। ম্যাচ খেলতে অস্বীকার করে। মাঠেই দাঁড়িয়ে দু-দলের ফুটবলাররা। প্রায় ঘণ্টাখানেক ম্যাচ বন্ধ থাকে। ঘরের মাঠের সমর্থনে নেপাল আরও তেতেছিল। কিন্তু আয়োজকদের অস্বস্তি বাড়াল গ্যালারিও। নানা কটুক্তি আসছিল ভারতীয় ফুটবলারদের উদ্দেশে। রেফারি বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ম্যাচ শুরু করা যাচ্ছিল না। রেফারিদের হেড মারিও রেবেলো কথা বলেন নেপাল টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে। অবশেষে খেলা শুরু হয়।
প্রায় ঘণ্টা খানেক পর ম্যাচ শুরু হওয়া, গ্যালারির আচরণ সব মিলিয়ে অস্বস্তিতে ছিল ভারতীয় ফুটবল দল। পুনরায় ম্যাচ শুরু হতে প্রথম মুভ থেকেই গোল করে সমতা ফেরান সবিত্রা ভাণ্ডারি। অ্যাডেড টাইম সহ সব মিলিয়ে ১৭৩ মিনিটের ম্যাচ। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এমনটা আগে ঘটেছে বলে মনে করা কঠিন। স্টপেজ টাইম ধরে এমনই দীর্ঘ ম্যাচ হল। নির্ধারিত সময়ের পর এক্সট্রা টাইম নয়, সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ।
টাইব্রেকারে প্রথম কিক মিস করেন ভারত অধিনায়ক আশালতা দেবী। সবিত্রা ভাণ্ডারি গোল করতেই অ্যাডভান্টেজে নেপাল। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন ভারতীয় দলের ফুটবলাররা। টাইব্রেকারেও তার প্রভাব পড়ল। শেষ অবধি টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে নেপাল। ফাইনালে তারা খেলবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তবে মাঠে যা হল, নেপাল ফুটবলের জন্য ভালো বিজ্ঞাপন নয়। এরপর কোনও ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে ভাবতে বাধ্য হবে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থাও।