Subhash Bhowmick: ময়দানে আধুনিক ফুটবলের রোল মডেল হয়ে থাকবেন ভৌমিক স্যর
কলকাতা ময়দানে ফিটনেসের বীজ বুনে দিয়েছিলেন সুভাষ ভৌমিকই (Subhash Bhowmick)। বিদেশি ক্লাবের ফুটবলাররা যে ভাবে অনুশীলন করেন, সেই ফর্মুলাকে অ্যাপ্লাই করেছিলেন ভৌমিক স্যার।
কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়
ফিট থাকলে তবেই হিট। ফুটবলাররা ফিট থাকলে তবেই তো মাঠে সাফল্য পাবে দল। কলকাতা ময়দানে ফিটনেসের বীজ বুনে দিয়েছিলেন সুভাষ ভৌমিকই (Subhash Bhowmick)। বিদেশি ক্লাবের ফুটবলাররা যে ভাবে অনুশীলন করেন, সেই ফর্মুলাকে অ্যাপ্লাই করেছিলেন ভৌমিক স্যার। আজ থেকে প্রায় ১৮ বছর আগে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাবে এসেছিল জাকুজি (jacuzzi)। এমন কি ক্লাবেই ফুটবলারদের জন্য তৈরি হয়েছিল জিমন্যাশিয়াম। আর এই আধুনিকীকরণের মূল স্রষ্টা সুভাষ ভৌমিক। তিনিই পথ দেখিয়েছিলেন ফুটবলের ভবিষ্যৎকে।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে তখন বাইচুং, আলভিটো, সুরেশ, ডগলাসদের মতো তারকা ফুটবলাররা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। একের পর এক টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে লাল-হলুদ। মশাল জ্বলছে। আর এর নেপথ্যে ছিলেন কোচ সুভাষ ভৌমিক। ক্লাবে সুইমিং পুল করতে হলে দরকার সেনার অনুমতি। ঠিক এই অবস্থায় ক্লাবকে জাকুজি আনার প্রস্তাব দেন সুভাষ ভৌমিক। বিশাল অর্থ খরচ করে জাকুজির এক একটা অংশ নিয়ে আসা হয় ক্লাবে। তারপর সেই অংশগুলোকে জুড়ে তৈরি হয় জাকুজি। অনুশীলনের পর কিংবা কখনও কখনও গোটা সকাল ওই জাকুজিতেই সময় কাটাতেন বাইচুং-আলভিটোরা। পুল সেশনের গোটা কাজটা হয়ে যেত ওখানেই। কি ভাবে কতক্ষণ থাকতে হবে তা পুরোটা নিজেই দেখিয়ে দিতেন সুভাষ। জিম সেশনেও ফুটবলারদের ফিট থাকার কৌশল দেখিয়ে দিতেন।
কলকাতা ময়দান আধুনিক অনুশীলনের স্বাদ পেয়েছিল সুভাষ ভৌমিকের হাত ধরেই। ময়দানে নিয়ে এসেছিলেন বিদেশি ট্রেনার কেভিন জ্যাকসনকে। ফ্রিকিক অনুশীলনে ফুটবলারদের পারদর্শী করতে কৃত্রিম মানব প্রাচীর নিয়ে এসেছিলেন সুভাষ ভৌমিকই। সেই আধুনিক চিন্তাধারার স্রোতেই এরপর গা ভাসায় ভারতীয় ফুটবল। সুভাষ ভৌমিকের প্রয়াণে তাই শোকস্তব্ধ গোটা ময়দান।
আরও পড়ুন: Subhash Bhowmick: ভোম্বলদার সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে, বলছেন বাইচুং
আরও পড়ুন: Subhash Bhowmick: স্বপ্ন দেখা সুভাষই সাবালক করেছিলেন ভারতীয় ফুটবলকে