ভুবনেশ্বর: ক্রিকেটে হয়নি। ১৪০ কোটির স্বপ্ন পূরণ হয়নি। নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ১ লাখ ১০ হাজার দর্শকের সামনে দিয়ে ট্রফি নিয়ে চলে গেল অস্ট্রেলিয়া (Australia)। অনেক প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলকে ঘিরে। টানা ১০ ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠেন রোহিতরা। অথচ রবিবারের মেগা ফাইনালে মুখ থুবড়ে পড়ল টিম ইন্ডিয়া। ক্রিকেটের আশা শেষ। ফুটবলের আশা এখনও বেঁচে। ক্রিকেট বিশ্বকাপের ভরা বাজারেই প্রাক ফুটবল বিশ্বকাপের ম্যাচে কুয়েতকে হারিয়ে চমকে দেয় ভারত। মনবীর সিংয়ের একমাত্র গোলে কুয়েতকে হারায় ব্লু টাইগাররা। ইগর স্টিম্যাকের কোচিংয়ে নতুন স্বপ্ন দেখছে ভারতীয় ফুটবল। যাত্রা অনেক কঠিন, তবু লড়াই জারি রেখেছেন সুনীল ছেত্রী, গুরপ্রীত সিং সান্ধুরা। বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল কুয়েতের। ভারতের কাছে এখনও সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। সেই কুয়েতকে হারিয়েই নতুন দিগন্ত খুলে দেন সুনীলরা (Sunil chhetri)।
মঙ্গলবার বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে কাতারের সামনে ভারত। এক বছর আগেও আয়োজক দেশ হিসেবে ফুটবল খেলেছে কাতার। ভারতের চেয়ে ফিফা ক্রমতালিকাতেও কয়েক যোজন এগিয়ে। মঙ্গলবার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের সামনে সুনীলরা। লড়াই এবার আরও কঠিন। কার্লোস কুইরোজের দল ফিফা ক্রমতালিকায় ৬১ নম্বরে। সেখানে ভারত আছে ১০২ নম্বরে। মঙ্গলবারের মেগা ম্যাচে দর্শকদের পূর্ণ সমর্থন চাইছেন সুনীলরা। ঠিক যেমন ক্রিকেট দলের জন্য গলা ফাটিয়েছে ১৪০ কোটির দেশবাসী, তেমনই কাতারের বিরুদ্ধে মেগা ম্যাচে দেশবাসীর সমর্থন চাইছে ভারতীয় ফুটবল দল। বছর চারেক আগে এই কাতারের বিরুদ্ধে দোহায় গোলশূ্ন্য ড্র করেছিল ভারত। সেই ম্যাচে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধু। সুনীল ছেত্রী ওই ম্যাচে না খেলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন গুরপ্রীত। ওই ম্যাচে ১১টা সেভ করেছিলেন তিনি। পরের সাক্ষাতে অবশ্য কাতারের কাছে ০-১ হারে ভারত। তবে কুয়েতের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে জয় অনেকটাই তাতিয়ে দিয়েছে ইগর স্টিম্যাকের দলকে। দেশের হয়ে ২৫ ম্যাচে গোল না হজম করার রেকর্ড গড়েছেন গুরপ্রীত। যদিও এটা তাঁর কাছে শুধুই সংখ্যামাত্র।
কাতারের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাক বলছেন, ‘কাতারের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে অনেক পরিকল্পনা করছি আমরা। ওদের গতি আর শক্তি সম্পর্কে আমরা অবগত। ওদের রক্ষণ যেমন সংগঠিত, তেমনই আক্রমণ বেশ শক্তিশালী। আফগানিস্তানকে আট গোলের মালা পরিয়েছে। ওই ম্যাচে আরও অনেক গোল হতে পারত। আমাদের লড়াই কঠিন। তবে ছেলেদের বলব, ম্যাচটা উপভোগ করতে। কুয়েতের বিরুদ্ধে জিতলেও, এই ম্যাচে অতিরিক্ত চাপ নিতে বারণ করব। কুয়েতের বিরুদ্ধে জয় আমাদের মনোবল বাড়িয়েছে । কাতার এই গ্রুপের ফেভারিট দল। আমাদের ঘিরে তেমন উচ্চ প্রত্যাশা নেই। তবে আমরা জানি, সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।’