কলকাতা : জিতলে সুপার কাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিত মোহনবাগান। প্রথম ম্য়াচে গোকুলম কেরালা এফসির বিরুদ্ধে ৫-১’র বিশাল জয়ে সুপার কাপ অভিযান শুরু করেছিল মোহনবাগান। জামশেদপুর এফসিও প্রথম ম্য়াচে জিতেছিল। ফলে মোহনবাগান বনাম জামশেদপুর ম্য়াচ কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু মোহনবাগানের জন্য় ম্য়াচটা সুখকর হল না। জামশেদপুর এফসির কাছে ০-৩ ব্য়বধানে হার। টানা দু-ম্য়াচে জয় এবং মোহনবাগানের সঙ্গে হেড টু হেড গোল পার্থক্য়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল জামশেদপুর এফসি। গ্রুপের শেষ ম্য়াচে মোহনবাগান বড় ব্য়বধানে জিতলেও লাভ নেই। কেন না, জামশেদপুরের সঙ্গে সেক্ষেত্রে পয়েন্ট সমান করার সুযোগ থাকলেও হেড টু হেডে পিছিয়ে পড়বে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগানের কাছে শেষ ম্য়াচ শুধুই নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়াল। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
গোকুলাম কেরালা এফসিকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে সুপার কাপ অভিযান শুরু করেছিল মোহনবাগান। আইএসএল চ্যাম্পিয়নদের ঘিরে প্রত্যাশাও তৈরি হয়েছিল গগনচুম্বী। দ্বিতীয় ম্যাচে আচমকাই আকাশ থেকে মাটিতে এসে পড়ল ফেরান্দোর দল। মোহনবাগানকে একেবারে টুর্নামেন্টের বাইরেই পাঠিয়ে দিল বরিস সিংরা। প্রথম এগারোয় এ দিন তিনটে বদল এনেছিলেন বাগান কোচ ফেরান্দো। তিন কাঠির তলায় ফেরেন বিশাল কাইথ। এছাড়া গ্লেন মার্টিন্স আর দিমিত্রি পেত্রাতোসকে ফেরানো হয় এগারো জনের দলে।
২২ মিনিটে প্রথম ঝটকা বাগান শিবিরে। বরিস সিংয়ের গোলে ১-০ এগিয়ে যায় জামশেদপুর এফসি। প্রথম ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই ফের গোল হজম প্রীতমদের। ৪২ মিনিটে ২-০ করেন সেই বরিস সিং। দুটি গোলের ক্ষেত্রেই বঙ্গতনয় ঋত্বিক দাসের অবদান রয়েছে। গোল দুটির ক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধের লক্ষ্যে আক্রমণে ঝাঁপায় মোহনবাগান। তাতে অবশ্য লাভের লাভ কিছু হয়নি। ইনজুরি টাইমে বাগানের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন হ্যারি সয়ের (৩-০)। প্রথম ম্যাচে এফসি গোয়াকে ৫-৩ গোলে হারায় জামশেদপুর এফসি। দ্বিতীয় ম্যাচে মোহনবাগানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেন ঋত্বিকরা। সুপার কাপের গ্রুপ পর্বে হেড টু হেড নিয়ম কার্যকর। সেক্ষেত্রে শেষ ম্যাচে গোয়ার বিরুদ্ধে মোহনবাগানের ম্যাচ নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়াল। টুর্নামেন্টের প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠল জামশেদপুর এফসি।