কলকাতা : টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল বিশাল জয়ে। শেষ হল হারে। মরসুমও শেষ করল মোহনবাগান। মরসুমের শুরু হয়েছিল হতাশায়। ডুরান্ড কাপে ব্য়র্থতার অস্বস্তি কাটিয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দারুণ শুরু করে সবুজ মেরুন। কিন্তু মাঝপথে খেই হারায় তারা। সবুজ মেরুন শিবিরে সবচেয়ে বেশি অস্বস্তি ছিল আক্রমণ ভাগ নিয়ে। দিমিত্রি পেত্রাতোস ছাড়া কেউই ধারাবাহিক ছিলেন না। রক্ষণ ভাগ অবশ্য় দারুণ খেলছিল। কিন্তু টুর্নামেন্টের মাঝপথে বেশ কিছু ম্য়াচ ড্র এবং হারে প্লে-অফই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল এটিকে মোহনবাগানের। পরিস্থিতি বদলাতে খুব বেশি সময় নেয়নি হুয়ান ফেরান্দোর দল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে চ্য়াম্পিয়ন হয়েছে মোহনবাগান। মরসুমের দ্বিতীয় ট্রফির অপেক্ষা ছিল সুপার কাপে। যদিও তা হল না। বিস্তারিত TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
সুপার কাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্য়াচে গোকুলম কেরালা এফসিকে ৫-১’এর বিশাল ব্য়বধানে হারিয়েছিল মোহনবাগান। জোড়া গোল করেছিলেন লিস্টন কোলাসো। টুর্নামেন্টের ফরম্য়াট যে কোনও দলের কাছেই কঠিন। একটা হার মানেই সম্ভাবনা শেষ। মোহনবাগানের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্য়াচে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে নেমেছিল সবুজ মেরুন। গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্য়াচে জিতেছিল জামশেদপুর। ফলে এই ম্য়াচটি নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মোহনবাগানকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল জামশেদপুর। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে এ দিন নিয়মরক্ষার ম্য়াচ ছিল মোহনবাগানের। মরসুমের শেষ ম্য়াচে নজর ছিল জয়ে। নিদেনপক্ষে ড্র হতে পারত। শেষ মুহূর্তের গোলে হার দিয়েই টুর্নামেন্ট শেষ হল সবুজ মেরুনের।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে সেরা গোলকিপারের পুরস্কার জিতেছেন বিশাল কাইথ। গোল্ডেন গ্লাভসজয়ী গোলকিপারের ভুলেই অবশ্য নির্ধারিত সময়ের ১ মিনিট আগে গোল খায় মোহনবাগান। বিশাল কাইথ ফিস্ট করেছিলেন। যদিও বল বাইরে যায়নি। সামনেই বল পান এফসি গোয়ার ফেয়ার। গোলে বল পাঠাতে ভুল করেননি তিনি। ০-১ ব্যবধানে হার মোহনবাগানের। ম্যাচ শেষে সবুজ মেরুনের স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দো বলেন, ‘বেশির ভাগ সময়ই আমাদের দাপট ছিল। ডিফেন্সে অনেক প্লেয়ারকেই পাওয়া যায়নি। তবে এই টুর্নামেন্টের ফল নিয়ে হতাশ নেই। ছেলেরা চেষ্টা করেছে। এখানেও ট্রফি জিততে এসেছিলাম। আইএসএলের পুনরাবৃত্তিতেই নজর ছিল।’