Super Cup: আলো নেই, মাঠ নেই, চরম অব্যবস্থা, তবু চলছে সুপার কাপ!
Hearo Super Cup : সন্তোষ ট্রফি আয়োজনের জন্য রাজ্য সরকারের থেকে টাকা পেলেও, সুপার কাপের জন্য এখনও পর্যাপ্ত অর্থ পায়নি আয়োজকরা। অভিযোগ স্থানীয় আয়োজক কমিটির এক সদস্যের।

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায় : অনুশীলনের জন্য নেই ভালো মাঠ, পর্যাপ্ত আলো নেই, থাকার সুব্যবস্থা নেই। কেরলে আয়োজিত সুপার কাপ নিয়ে একাধিক সমস্যায় দলগুলো। ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন বারবার খারাপ মাঠের কথা তুলে ধরেছেন। ওড়িশার সঙ্গে ড্রয়ের পরও অনুশীলনের মাঠ নিয়ে সোচ্চার হন লাল-হলুদ কোচ। এমনকি ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলন করতে বেশ কয়েক কিলোমিটার ছুটতে হয় ব্রিটিশ কোচকে। কোঝিকোড় আর মঞ্জেরিতে খেলতে গিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ সামনে আসছে। ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন তো বলেই দিচ্ছেন, ‘অনুশীলনে কোনও ফুটবলার বড় চোট পেলে তার দায় কে নেবে?’ স্থানীয় উদ্যোক্তারা রাতে অনুশীলনের জন্য মাঠে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাও করতে পারেনি। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার মধ্যেই চলছে সুপার কাপ। কলকাতা, গোয়া ছেড়ে কেরলকেই সুপার কাপের ভেনু হিসেবে বেছে নেয় ফেডারেশন। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
ঠিকঠাক ট্রেনিং ব্যবস্থা না থাকায় প্রত্যেক ম্যাচের আগে ১৮৫ কিলোমিটার যাতায়াত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরালা ব্লাস্টার্স। কোচি থেকে কোঝিকোড় যেতে সময় লাগে ৫ ঘণ্টারও বেশি কিছু সময়। আয়োজকদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে খোদ হোম টিমই। ভেনু থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে হোটেলে রয়েছে দলগুলো। ইস্টবেঙ্গলসহ আরও দুটো দল ফেডারেশনের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ জানাচ্ছে। অব্যবস্থার কথা স্বীকারও করে নিচ্ছে উদ্যোক্তারা।
টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য রাজ্য সরকারের থেকে পর্যাপ্ত অর্থ পায়নি উদ্যোক্তারা। কেরলের রাজ্য স্পোর্টস কাউন্সিল থেকে কিছু অর্থ পাওয়ার আশা করছে টুর্নামেন্টের আয়োজকরা। সেটা না পাওয়া পর্যন্ত সমস্যা যে বাড়তেই থাকবে তা আন্দাজ করাই যায়। সন্তোষ ট্রফি আয়োজনের জন্য রাজ্য সরকারের থেকে টাকা পেলেও, সুপার কাপের জন্য এখনও পর্যাপ্ত অর্থ পায়নি আয়োজকরা। অভিযোগ স্থানীয় আয়োজক কমিটির এক সদস্যের। ট্রেনিং ব্যবস্থা নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ থাকলেও, প্লেইং ভেনু নিয়ে এখনও কোনও দলের তরফ থেকে অভিযোগ ওঠেনি।





