দোহা: বাবা-ই পারবে! এই বিশ্বাসটুকুই আজ সম্বল তার। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর প্রথম বিশ্বকাপ স্মরণে নেই। ২০১৮-তে দ্বিতীয় বিশ্বকাপের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ছয়। গোটা দেশের সম্মান কাঁধে নিয়ে সে বিশ্বকাপে বাবার মরণপন লড়াই কতটা গুরুত্ব ছিল, তা বোঝার ক্ষমতা সে দিন হয়তো ছিল না থিয়াগো মেসির। ওই বিশ্বকাপে রাউন্ড অব সিক্সটিনে ফ্রান্সের সঙ্গে ৩-৪ রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে হারতে হয় লিওনেল মেসিদের। হারের পর প্রশ্ন উঠেছিল, এ বার মেসির দিন শেষ। কারণ, কিছুদিন আগেই কোপা আমেরিকার ফাইনালে হেরে গিয়ে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মেসি। শুধুই দেশের জন্য ২০১৮-র বিশ্বকাপে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু দেশকে কাপ দিতে পারেননি। মেসি যত বড় ফুটবলার হোক না কেন, দিয়াগো মারাদোনা নন, এমন শ্লেষে বিদ্ধ হতে হয়েছিল মেসিকে। বাবার অস্ফুষ্ট কষ্ট হয়তো, ছয় বছরের ‘বালক মনে’ দাগ কাটে। তাই, এই বিশ্বকাপে বাবার হাতেই কাপটা দেখতে চায় মেসির বড় ছেলে। ফরাসিদের বিরুদ্ধে বাবা ফাইনালে নামার আগে একটি আবেগঘন চিঠিও লিখে ফেলেছে থিয়াগো মেসি। কী লিখলেন থিয়াগো! বিস্তারিত TV9Bangla।
থিয়াগো মেসির চিঠির শুরুতেই একটি গানের কলি- মুচাচোস, আহোরা নস ভলভিমস এ ইলিউসনার। বাংলায় যার তর্জমা, বন্ধুরা আবার আশার সঞ্চার হয়েছে, তৃতীয়বার জিততে চাই, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। এই গান কাতারে কার্যত আর্জেন্টিনার জাতীয় সঙ্গীত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই গান গেয়ে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা নিজেদের উজ্জীবিত করে তুলছেন। থিয়াগোরও বিশ্বাস, তৃতীয়বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবে আর্জেন্টিনা। বাবার হাতেই উঠবে বহু প্রতীক্ষিত কাপটি। মেসির উদ্দেশে থিয়াগো আরও লেখে, ‘আর্জেন্টিনার সমস্ত মানুষ তোমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে বাবা। তুমিই ওদের আশা ভরসা।’
রবিবারের লুসেইল স্টেডিয়াম কুরুক্ষেত্রে পরিণত হতে চলেছে। এমবাপের ফ্রান্স নামছে দ্বিতীয়বার বিশ্বচ্যাম্পিয়নের শিরোপা নিজেদের কাছে রাখতে। আর লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা নামছে শুধুর মেসির হাতে বিশ্বকাপ তুলে দিতে। মেসির শেষ বিশ্বকাপে এর থেকে বড় উপহার কী দিতে পারেন সতীর্থ দি মারিয়া-মার্তিনেজরা। আর মেসির কাছে এই বিশ্বকাপের ফাইনাল হল ‘ধর্মযুদ্ধ’। সাত-সাতটি ব্যালন ডি’ওর ঝুলিতে। কিন্তু এই বিশ্বকাপ না এলে আর্জেন্টিনা ফুটবল বিশ্বে ধর্মচ্যুত হবে, মেসি জানেন। জানেন পুত্র থিয়াগোও।