
দোহা: শুক্রবার কাতারের লুসেইল স্টেডিয়াম সাক্ষী থাকল এক অন্যরকম ফুটবলের। ফুটবলে হাতাহাতি, তর্কাতর্কি নতুন নয়। প্রতিপক্ষকে রুখতে আক্রমণ তো করতেই হয়, তবে সে আক্রমণ যদি ইচ্ছে করে ব্য়ক্তিগত আক্রমণ হয়ে যায় তাহলেই বিপদ। আর তাই হল শুক্রবার আর্জেন্টিনা (Argentina)-নেদারল্যান্ডস (Netherlands) ম্যাচে। হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি, ফাউল সবমিলিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় লুসেইল। পরিস্থিতি সামলাতে এক ম্যাচে দুপক্ষ মিলিয়ে ১৭ টি হলুদ কার্ড (Yellow Cards) দেখান রেফারি। আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে কী এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যার জন্য রেফারিকে এই কাজ করতে হল? তুলে ধরল TV9 Bangla।
আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে প্রথম থেকেই অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। দুপক্ষকেই বেশ আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে মাঠে নামে। তবে অশান্তির সুত্রপাত হয় যখন পরপর দুটি ট্যাকেল করেন আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার পারেদেস। তারপর সজোরে লাথি মেরে বল পাঠিয়ে দেন ডাচদের রিজার্ভ বেঞ্চে। আর এরপরই মাঠে নেমে আসেন ডাচ ফুটবলাররা। পারেদেসকে একপ্রকার ঘিরে ধরেন তাঁরা। ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় আর্জেন্টিনার এক ফুটবলারকে। ডাচ অধিনায়ক ভার্জিল ভ্যান ডাইক ধাক্কা মেরে ফেলে দেন পারেদেসকে। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি চরমে পৌঁছয়।
ঘটনা সামাল দিতে একাধিক হলুদ কার্ড দেখান স্প্যানিশ রেফারি আন্তোনিও মাতেউ লাহো। বিশ্বকাপের এক ম্যাচে ১৭ বার হলুদ কার্ড আগে দেখেনি ফুটবল বিশ্ব। তবে অনেকেই মনে করছেন এত গুলো হলুদ কার্ড দেখানোর কোন প্রয়োজন ছিল না। মাতেউকে শুক্রবারের ম্যাচের খলনায়কও বলছেন কেউ কেউ। তাঁর কার্ডের তালিকা থেকে বাদ যাননি আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি এবং রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলাররাও। খেলার ছন্দও হারিয়েছে তাঁর অহরহ কার্ড দেখানোয়।