লিমা: পেরুর বিরুদ্ধে পুরো ভেনেজুয়েলা ফুটবল দলকে অপহরণের অভিযোগে সরগরম ফুটবল রাজনীতি। বুধবার, বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে লিমায় মুখোমুখি হয়েছিল পেরু ও ভেনেজুয়েলা। ১-১ গোলে ড্র হয় ম্য়াচ। এরপরই শুরু হয় কূটনৈতিক বিতর্ক। ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান গিল জানিয়েছেন যে বিমানে করে দেশে ফেরানোর কথা ছিল ফুটবলারদের, তাতে তেল ভারনোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। এভাবে দেশের ফুটবলারদের আটকে রেখে স্বেচ্ছাচারিতামূলক কাজ করেছে পেরু, এমনটাই দাবি ইভান গিলের। লিমায় অসাধরণ ম্যাচ খেলার প্রতিশোধ হিসেবেই এই কাজ করেছে পেরু, এমনটাই মনে করছেন অনেকে। আসলে ঠিক কী ঘটেছিল বুধবার? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
La oligarquía racista de Perú ha arremetido contra nuestra noble selección nacional de fútbol, la Vinotinto. Venezuela alza su voz para protestar la xenofobia, la violencia, la agresión contra la vinotinto venezolana, manifestó el Pdte. @NicolasMaduro al rechazar los actos de… pic.twitter.com/jTHZ923DUC
— Prensa Presidencial (@PresidencialVen) November 22, 2023
এই অভিযোগ প্রকাশ্য়ে আসতেই উঠেছে নিন্দার ঝড়। এ ভাবে কেন আটকে রাখা হল ফুটবলারদের প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। নির্ধারিত সময়ের প্রায় চার ঘণ্টা পর ছাড়ে ভেনেজুয়েলার বিমান। লিমার জর্জ শ্যাভেজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালনাকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, জ্বালানি সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্য়ার কারণে এই বিলম্ব হয়েছে। এই ঘটনার পর ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো পেরুর বর্ণবাদী স্বৈরশাসনের প্রতি ঘৃণা জানিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনার আগে ভেনেজুয়েলার ফুটবলার নাহুয়েল ফেরারেসি দাবি করেছিলেন পেরুভিয়ান পুলিশ তাঁকে মারধর করেছে। তিনি বলেন, “এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর আমরা ভেনেজুয়েলার সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে গিয়েছিলাম। এক ফুটবলার তার জার্সি সমর্থকদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি তার জার্সি দর্শকদের দিকে ছুড়ে দিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাকে বাধা দেয়। এবং লাঠি চার্জ করতে শুরু করে। লাঠির ঘা আমারও লেগেছে।” ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা বাছাই পর্বের ম্য়াচে ধুন্ধুমার কাণ্ডের জেরে এমনিতেই উত্তপ্ত ফুটবলবিশ্ব। এরপর আবার পেরু-ভেনেজুয়েলায় ঝামেলা, এককথায় বিশ্বকাপ বাছই পর্বেই উত্তাপ ছড়িয়েছে চারিদিকে।