কলকাতা: কাতার বিশ্বকাপের রেশ কেটেছে! হয়তো না। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়, মেসির হাতে ট্রফি। এগুলোর রেশ বহুদিন থেকে যাবে। তেমনই মনে থাকবে বেশ কিছু গোল কিংবা গোলকিপার সেভ! যেমন, আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ফাইনালে শেষ মুহূর্তটাই মনে করুন! আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের সেই বাঁ পায়ের সেভ! কাতার বিশ্ব কাপে অনেক গোলই রয়েছে যেগুলো হয়তো বহু বছর মনে থেকে যাবে। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক? ভিনিসিয়াস জুনিয়রের সেন্টার নামিয়ে, ফের বল বুকের উচ্চতায় তুলে রিচার্লিসনের খানিকটা সেই বাই-সাইকেল কিক বা বলা ভালো কুংফু কিকে গোলটা নিশ্চয়ই মনে আছে! কেউ বা গ্য়ালারিতে থেকে দেখেছেন, অনেকে টেলিভিশনে ঝাঁ চকচকে এইচডি ভার্শনে! কিংবা মোবাইল অ্যাপে? কিন্তু কেরলের এক কিশোরের এই গোলটির মতো গোল আগে দেখেছেন! মনে করার চেষ্টা করুন তো! বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্য়ে অনেক কিছুই হয়তো চোখের সামনে আসে। নিউজফিড স্ক্রোল করতে করতে নেমে যাই আমরা। কিন্তু এই ভিডিয়ো না দেখে থাকা যাবে না। অন্তত যাঁরা ফুটবল ভালোবাসেন, তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। এর আগে ভাইরাল হয়েছিল এক কিশোরের ফ্রি-কিক। আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল, মেসির মতো সেই ফ্রি-কিক। এ বার কেরলের এক কিশোরের গোল চোখ জুড়িয়ে দেওয়ার মতো। শূন্য়ে পা, ব্য়াক হিলে গোল! এমনটাও সম্ভব! না দেখলে যেন বিশ্বাসই করা যাবে না। ক্রিকেটের প্রসঙ্গ টেনে বলা যায়, মহেন্দ্র সিং ধোনির সেই রান গুলো মনে পড়ে! যেখানে তিনি উইকেট না দেখেই থ্রো ধরে পায়ের ফাঁক দিয়ে উইকেট ভেঙে দিচ্ছেন? এ যেন তাঁর চেয়েও অনবদ্য একটা মুহূর্ত।
কেরলের মলপ্পুরমের ক্লাস সিক্সের এই গোল বর্ণনা করা কার্যত অসম্ভব। স্কুল ফুটবলের একটি ম্যাচ। আল আনোয়ার ইউপি স্কুলের ক্লাস সিক্সের ছাত্র অনশিদ। অনূর্ধ্ব ১২ ফুটবল টুর্নামেন্টে গোল করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং তাঁর এই গোল। লেফ্ট উইং থেকে একটি ক্রস। অনশিদের গায়ে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার। এমন পরিস্থিতি যে কোনও ডিফেন্ডারের মনে হতে পারে, বল রিসিভ করে টার্ন নিয়ে তারপর গোল করবেন সেই প্লেয়ার। অনশিদ এমন কিছুই করেননি। শূন্য়ে লাফিয়ে ব্যাক-হিলে সরাসরি বল জালে জড়ান। গোলকিপারও কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। তাঁর এই গোল এতটাই নজর কেড়েছে, দেশের এক নম্বর লিগ ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পেজ থেকেও সেই ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছে। যেখানে হাজারো কমেন্ট, লক্ষাধিক লাইক।