
মাঠে নামার আগেই কি ব্যাকফুটে কার্লেস কুয়াদ্রাত? তাঁর মন্তব্যে এমনটা মনে হতেই পারে। পরিসংখ্যান বলছে, এ মরসুমে ৪টি ডার্বির মধ্যে দুটো জিতেছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। একটি করে হার ও ড্র। তারপরও কেন ব্যাকফুটে থাকবেন কার্লেস! নানা কারণ রয়েছে। গত মরসুমের তুলনায় ইস্টবেঙ্গল এ বার দারুণ পারফর্ম করছিল, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। এক যুগের ব্যবধানে সর্বভারতীয় ট্রফিও জিতেছে। কিন্তু ধারাবাহিকতা কোথায়! এগিয়ে থেকেও বেশ কিছু ম্যাচে হার কিংবা ড্র। প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়াই দায় এখন। এর মাঝে সামনে বিধ্বংসী ফর্মে থাকা মোহনবাগান। কী বলছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বাস্তব পরিস্থিতি, ফর্ম যাই হোক। জটিল অঙ্কে এখনও প্লে-অফের রাস্তা খোলা রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। এর জন্য ডার্বি জিততেই হবে। যদিও অতিরিক্ত চাপ নিতে নারাজ ইস্টবেঙ্গল কোচ। ডার্বি জিতে তিন পয়েন্ট নেওয়া এবং শীর্ষে ছয়ে ঢোকাই লক্ষ্য থাকবে। তবে ম্যাচ হারলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে, এমনটা মনে করেন না ইস্টবেঙ্গল কোচ। সে কারণেই বাড়তি চাপ নিতে নারাজ। আবার এমনও হতে পারে, ম্যাচের আগে এই ‘নিরুত্তাপ’ ভাব দেখানোটাই তাঁর স্ট্র্যাটেজি!
যুবভারতীতে কালকের ডার্বি নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের ‘প্রফেসর’ বলছেন, ‘মোহনবাগান এই ম্যাচে ফেভারিট হিসেবেই নামবে। ওদের গেমপ্ল্যান, প্রস্তুতিও দারুণ হয়েছে। ফলাফলই বলে দিচ্ছে ওরা কতটা ভালো দল। আমাদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে। ওরা নয়তো যা কিছু করতে পারে।’ কার্লেস কি আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছেন? পরের কথাগুলো শুনে নাও মনে হতে পারে।
ইস্টবেঙ্গল কোচ আরও বলেন, ‘মোহনবাগান ফেভারিট হলেও আমি আমার প্লেয়ারদের উপর ভরসা রাখছি। আমরা এ মরসুমে দুটো ডার্বি জিতেছি। আরও একটা জয়েই লক্ষ্য। তার জন্য় বাড়তি চাপ নিতে চাই না। কলকাতার ফুটবল সংস্কৃতি সম্পর্কে আমার খুবই ভালো জানা আছে। ডার্বিতে জেতাই লক্ষ্য থাকবে। কিন্তু রেজাল্ট খারাপ হলেও ভেঙে পড়ার কিছু নেই। আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগচ্ছি।’