দোহা: ফুটবলে (Football) কি শুধু গোলই পার্থক্য গড়ে দেয়? না। কখনও কখনও পার্থক্য গড়ে দেয় কার্ডও। বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) মঞ্চে এই কার্ডই আবার হারা-জেতার ফারাক গড়ে দেয়। দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার অনেক সময়ই কার্ড সমস্যায় ছিটকে যায়। আর সেটাই তফাৎ গড়ে দেয় দুটো দলের মধ্যে। ১৯৯০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হলুদ কার্ড দেখে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিলেন পল গ্যাসকোয়েগনে। যদিও বিশ্ব ফুটবলের নিয়মে এখন অনেক বদল এসেছে। বিশ্বকাপেও তাই কার্ড হজম করেও কখনও কখনও স্বস্তি এনে দেয় ফুটবলারদের। যদিও লাল কার্ডে কোনও ছাড় নেই। হলুদ কার্ডে অবশ্য কিছু ছাড় রয়েছে। কাতার বিশ্বকাপের (Qatar 2022) আগে আরও এক বার সেই নিয়ম গুলো তুলে ধরল TV9Bangla।
দুটো আলাদা ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখলে পরের ম্যাচে পাওয়া যাবে না সেই ফুটবলারকে। যদিও সেই নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। বিশ্বকাপের আগে প্লে অফ বা কোয়ালিফায়ারে কোনও ফুটবলারের হলুদ কার্ড সমস্যা থাকলে তা বিশ্বকাপে হিসেবে রাখা হবে না। তবে লাল কার্ড দেখলে সেই ফুটবলারকে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ হলুদ কার্ডের নিয়ম গ্রুপ পর্বে না থাকলেও, লাল কার্ডকে গ্রাহ্য করা হবে।
কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত হলুদ কার্ডের নিয়ম গ্রাহ্য হবে। অর্থাৎ কোনও ফুটবলার যদি গ্রুপ পর্বে দুটো হলুদ কার্ড দেখেন, তাহলে পরের ম্যাচে তাঁকে পাওয়া যাবে না। গ্রুপ পর্বে প্রত্যেক দল তিনটে করে ম্যাচ খেলবে। সেক্ষেত্রে গ্রুপ পর্বের শেষ দুটো ম্যাচে কোনও ফুটবলার হলুদ কার্ড দেখলে, তাঁকে শেষ ষোলোর ম্যাচে পাওয়া যাবে না। অথবা কোনও ফুটবলার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ আর প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে হলুদ কার্ড দেখে থাকলে, শেষ আটের ম্যাচে তাঁকে পাওয়া যাবে না। যদিও কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ওই নিয়ম গ্রাহ্য হবে না।
কোয়ার্টার ফাইনাল আর সেমিফাইনালে কোনও ফুটবলার হলুদ কার্ড দেখলেও ফাইনালে তিনি খেলতে পারবেন। একমাত্র লাল কার্ডই সেক্ষেত্রে ফাইনাল খেলা থেকে সেই ফুটবলারের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে। ২০১০ বিশ্বকাপ থেকেই হলুদ কার্ডের জন্য এই নিয়ম আনা হয়। যদিও এই নিয়ম নিয়ে অনেকের মধ্যেই তর্ক, বিতর্ক চলে।