Lionel Messi: ‘মারাদোনার হাত থেকে বিশ্বকাপ নিতে পারলে খুশি হতাম’, আবেগতাড়িত মেসি
Qatar World Cup 2022: চড়া মেজাজে শেষ হয় আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস কোয়ার্টার ফাইনাল। ১২০ মিনিট ২-২ থাকার পর টাইব্রেকারে জিতেছিলেন মেসিরা। তবে দুই দলের ফুটবলাররাই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সব মিলিয়ে ১৭টা হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।

প্যারিস: লিওনেল মেসির হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে দিচ্ছেন দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা! যদি এমনটা হত। কল্পনায় ভাসলেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপ জয়ের একমাস পেরিয়ে গেলেও, কাপ জয়ের রেশ এখনও কাটেনি এলএম টেনের। এখনও তিনি বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্তকে স্মরণ করেন। কাতার বিশ্বকাপ তাঁর জীবনকে পরিপূর্ণ করেছে। তাই এই বিশ্বকাপকে তিনি কোনওদিন ভুলতে পারবেন না। ট্রফি জিতলেও, তা দেখে যেতে পারেননি দিয়েগো মারাদোনা। ২০২০ সালের নভেম্বরে প্রয়াত হন ফুটবলের রাজপুত্র। সেই আফশোস যাচ্ছে না মেসির। তিনি মনে করেন, মারাদোনা যদি এই মুহূর্ত দেখে যেতে পারতেন তাহলে এর চেয়ে ভালো কিছু হত না। বিশ্বকাপে সৌদি আরবের কাছে প্রথম ম্যাচে হেরে যায় আর্জেন্টিনা। এরপর আর থামানো যায়নি মেসিদের। বাকি ৬ ম্যাচ জিতে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। কী বলছেন মেসি? বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
এক স্প্যানিশ রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘মারাদোনার হাত থেকে বিশ্বকাপ নিতে পারলে খুব খুশি হতাম। অন্তত ওঁ যদি দেখেও যেতে পারত, তাহলেও ভালো লাগত। বিশ্বকাপ জেতার জন্য মারাদোনাই আমাদের উপর থেকে আশীর্বাদ ঢেলে দিয়েছে। একই সঙ্গে রয়েছে দেশবাসীর ভালোবাসা। আর্জেন্টিনার জাতীয় দলকে মারাদোনা যে ভাবে ভালোবাসত তা কল্পনাতীত।’
১৯৮৬ সালে কার্যত একার কাঁধেই আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন দিয়েগো মারাদোনা। ‘৯০ বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠলেও চ্যাম্পিয়ন হয়নি আর্জেন্টিনা। এরপর ৩৬ বছর ধরে শুধু অপেক্ষাতেই দিন কাটছিল। মেসির হাত ধরে অবশেষে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। মারাদোনা দেখে যেতে পারেননি, তবে মেসিদের কাপ জয়ের ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
এ দিকে বিশ্বকাপে মেক্সিকো ম্যাচকে অন্যতম সেরা হিসেবে ধরেছেন লিওনেল মেসি। ওই ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় আর্জেন্টিনা। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে মেসির গোলেই প্রাণ ফিরে পেয়েছিল স্কালোনির দল। একই সঙ্গে নেদারল্যান্ডস ম্যাচে নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। চড়া মেজাজে শেষ হয় আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস কোয়ার্টার ফাইনাল। ১২০ মিনিট ২-২ থাকার পর টাইব্রেকারে জিতেছিলেন মেসিরা। তবে দুই দলের ফুটবলাররাই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সব মিলিয়ে ১৭টা হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ম্যাচের পর ডাচ কোচ লুই ভ্যান গালের সঙ্গেও কথা কাটাকাটিতে জড়ান মেসি।
যে ঘটনা প্রসঙ্গে বিশ্বকাপে সোনার বলজয়ী বলেন, ‘ম্যাচের আগে ভ্যান গাল আমাদের নিয়ে অনেক খারাপ কথা বলেছিল। আমার সতীর্থরাও আমাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করছিল। চড়া মেজাজে ম্যাচ শেষ হয়েছিল। আমি যা করেছি, তা একদমই ঠিক নয়। তবে ওই সময় স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পারিনি। সব কিছু খুব তাড়াতাড়ি হয়ে গিয়েছিল।’
দেশকে সাফল্য এনে দিয়েছেন। ক্লাবের জার্সিতে প্যারিস স্যঁ জ্যঁ-কে এবার সাফল্য এনে দিতে চান মেসি। পিএসজি কখনও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতেনি। সেই বহুকাঙ্খিত ট্রফিই ক্লাবকে জেতাতে চান এলএম টেন।





