Euro 2020: ইউরোর সবচেয়ে খাটো কিপার সোমেরই আজ চিন্তা স্পেনের
সোমেরের দিকে তাকালে মিলবে নানা চমকপ্রদ তথ্য। তাঁর উচ্চতা মাত্র ১৮৩ সেন্টিমিটার। যা ইউরো কাপের কিপারদের মধ্যে সবচেয়ে কম।
ছেলেবেলায় উচ্চতা বেশ কমই ছিল তাঁর। তবু গোলকিপার (Goalkeeper) হওয়ার ইচ্ছে হয়েছিল। বাবা আর কাকা দু’জনেই ছিলেন কিপার। তাই যখন শুনেছিলেন, তাঁর কোচ টিমের জন্য় একজন কিপার খুঁজছেন, আর দেরি করেননি। সেই ইচ্ছেটাই ইউরো কাপে (Euro Cup) হিরো করে দিয়েছে ইয়ান সোমেরকে (Yann Sommer)।
সোমেরের দিকে তাকালে মিলবে নানা চমকপ্রদ তথ্য। তাঁর উচ্চতা মাত্র ১৮৩ সেন্টিমিটার। যা ইউরো কাপের কিপারদের মধ্যে সবচেয়ে কম। উচ্চতায় সোমেরের ধারেকাছে থাকবেন ইংল্যান্ডের কিপার জর্ডান পিকফোর্ড। তাঁর উচ্চতা ১৮৫ সেন্টিমিটার। শুধু তাই নয়, সুইত্জারল্যান্ডের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে খাটো কিপার সোমের। এমনকি, মনচেনগ্ল্যাডবাখেরও সবচেয়ে খাটো কিপার। শুধু তাই নয়, ক্লাব ফুটবলেও বুন্দেশলিগার সবচেয়ে খাটো কিপার সোমের।
এই ইউরোয় সেরা কিপার যদি বাছতে হয়, তা হলে প্রথম নামটাই সুইস কিপারের। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে কিলিয়ান এমবাপের কিক আটকে দেশকে দীর্ঘদিন পর কোনও বড় টুর্নামেন্টের শেষ আটে তুলেছেন। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের আগে সোমেরই বড় চিন্তা স্প্যানিশ কোচ লুইস এনরিকের। শুধু টাইব্রেকারে নয়, নব্বই মিনিটেও সোমেরের অতীত পারফরম্যান্স কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে।
সোমেরের উত্থানের পিছনে নানা গল্প। উড়ে গিয়ে এমবাপের কিক থামিয়ে দেওয়ার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে মিডিয়ার। ক্লাব ফুটবলে শুরুর দিকে ছিলেন তৃতীয় কিপার। আর সেটাই কিপার হিসেবে তাঁর উত্তরণের প্রথম ধাপ ছিল। তখন রাইট ব্যাক হিসেবে খেলতেন ক্লাবের ট্রেনিংয়ে। মিডফিল্ডেও খেলতে দেখা যেত। কিপার হিসেবে এটাই রিফ্লেক্স বাড়িয়ে দিয়েছিল সোমেরের।
শুধু এমবাপেই নয়, কেরিয়ার জুড়ে এমন টাইব্রেকার কিংবা দূরপাল্লার শট রুখে দিতে ওস্তাদ সোমের। যদি স্পেনকে ধরা হয়, তা হলে সুইত্জারল্যান্ডের সঙ্গে তাদের শেষ দুটো ম্যাচ অন্য গল্প বলছে। সর্গিও র্যামোসের দুটো শট পর পর থামিয়ে দিয়েছিলেন সোমের। সুইস কিপারের এই গুণই কিন্তু চাপে রাখছে স্পেনকে। কেরিয়ারে সব মিলিয়ে ৮২টা পেনাল্টি কিকের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। সেভ করেছেন ১৯টা। টাইব্রেকারে ২৩ শতাংশ সাফল্য তাঁর।
শুধু পেনাল্টি দিয়ে বিচার করা যাবে না সোমেরকে। সুইস টেনিস তারকা রজার ফেডেরারে ঘনিষ্ঠ বন্ধু তিনি। অবসর বিনোদন বলতে রান্না করা। এমনকি, রান্না নিয়ে ব্লগও লেখেন নিয়মিত। বিভিন্ন সংস্থার মডেল হিসেবে দেখা যায় সোমেরকে। মাতৃভাষা সুইস তো জানেনই, জার্মান লিগে খেলার জন্য ওই ভাষাটাও শিখে ফেলেছেন। শুধু তাই নয়, স্প্যানিশে চোস্ত তিনি।
উচ্চারণে তাঁর নাম যাই হোক না, গ্লাভসে লেখা থাকে ‘সামার’। স্পেনের বিরুদ্ধে আরও একবার সোমেরের প্রখর তেজই দেখার অপেক্ষায় সুইসরা।
আরও পড়ুন: EURO 2020 : জার্মানির হারে গ্যালারিতে কান্না, ছবি ভাইরাল মুহূর্তে