Ankita Bhakat: চিড়িয়ামোড়ের ১০ ফুট বাই ১০ ফুট ঘর থেকে অলিম্পিকে, ভারতকে দিশা দেখাচ্ছেন অঙ্কিতা
Paris Olympics 2024: তুরস্কের অ্যান্টালায় নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠতেই প্যারিসের টিকিট কনফার্ম করলেন অঙ্কিতারা। ভারতের ছেলেরা নেদারল্যান্ডসের কাছে হারলেও তাঁরাও অলিম্পিক যাচ্ছেন।
কলকাতা: ১০ ফুট বাই ১০ ফুটের সেই ঘর থেকে শুরু হয়েছিল পথচলা। চিড়িয়াখানার ওই বাড়িকে মাথা গোঁজার ঠাঁই বলা উচিত। সেখানেই কুঁড়ি হয়ে দেখা দিয়েছিল স্বপ্ন। তা-ই এ বার ফুল হয়ে ফুটল। ওই এক কামরা ঘরের মেয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন অলিম্পিকে পা রাখবেন। অসংখ্য যন্ত্রণার রাত পার করে অবশেষে ঝলমলে সকাল খুঁজে পেলেন অঙ্কিতা ভকত (Ankita Bhakat)। ‘হবে নাকি হবে না’ এক আশ্চর্য দোলাচলের মধ্যে কেটেছে কটা দিন। ইন্ডিভিজুয়াল ইভেন্টে ব্যর্থতা, টিম ইভেন্টেও প্রায় হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল স্বপ্ন। সেখান থেকেই দুরন্ত কামব্যাক। ভারতের মেয়েরা চললেন প্যারিস অলিম্পিক (Paris Olympics)। দীপিকা কুমারী, ভজন কৌরের টিমে অত্যন্ত উজ্জ্বল মুখ অঙ্কিতা ভকত।
২০১২ সালে শেষ বার কোনও বাঙালি তিরন্দাজ অলিম্পিকে গিয়েছিলেন। দোলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর শুধুই শূন্যতা। দীপিকা কুমারী বাংলার গৃহবধু হলেও ঝাড়খণ্ডের মেয়ে। শেষ ২টো অলিম্পিকে দুধের স্বাদ ঘোলেই মেটাতে হয়েছে বাংলাকে। সেই শূন্যতা কাটিয়ে দিলেন অঙ্কিতা। বাঁ হাতি আর্চার এ বার প্যারিসে পদকের লক্ষ্যে দৌড়বেন। অলিম্পিকের কোটা পাওয়াটা ভারতের মেয়েদের কাছে সহজ ছিল না। ব্যক্তিগত ইভেন্টের ব়্যাঙ্কিং পর্যায়ে দীপিকা ভালো পারফর্ম করেছিলেন। ভজনও কিছুটা মেলে ধরেছিলেন নিজেকে। কিন্তু অঙ্কিতা তেমন কিছু করতে পারেননি। অবশ্য আশা কিছুতেই ছাড়েননি। ব্যক্তিগত ইভেন্টের মেইন রাউন্ডের শুরুতেই দীপিকা হেরে ছিটকে যান। অঙ্কিতা কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত উঠতে পেরেছিলেন। আর ভজন ওই ইন্ডিভিজুয়াল ইভেন্টে সোনা জিতে চমকে দেন। ব্যক্তিগত ইভেন্টের সময় মনে হয়েছিল এঁরাই টিম ইভেন্টে দারুণ কিছু করে দেখাতে পারেন। হলও তাই।
তুরস্কের অ্যান্টালায় নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠতেই প্যারিসের টিকিট কনফার্ম করলেন অঙ্কিতারা। ভারতের ছেলেরা নেদারল্যান্ডসের কাছে হারলেও তাঁরাও অলিম্পিক যাচ্ছেন। ডাচদের বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফর্ম করেছেন অঙ্কিতা। ৬-২ সেটে জেতা ম্যাচে তিনটে X মেরেছেন। ওই তিনটে ১০ পয়েন্টই ফারাক গড়ে দেয় নেদারল্যান্ডসের আর্চারদের সঙ্গে। অবশ্য সেমিফাইনালে জাপানের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছেন অঙ্কিতা-দীপিকারা। অঙ্কিতার স্বামী অমিত বলছিলেন, ‘এতদিনে স্বপ্নপূরণ হল আমাদের। আন্তর্জাতিক আঙিনায় অঙ্কিতা ভালো পারফর্ম করছিল। এশিয়ান গেমসেও ব্রোঞ্জ এনেছে। কিন্তু অলিম্পিকের স্বপ্নটা একদন অন্যরকম। আজ মনে হচ্ছে স্বপ্নটা পূরণ হল।’