AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

IPL 2021: বিরাটের টিমে এখনও সম্পদ এবিডি

রোহিতের টিমের ১৫৯ -৯ এর জবাবে শেষ বলে ১৬০-৮ তুলে জিতল আরসিবি। মুম্বই আইপিএলে বরাবরই শুরুটা খারাপ করে। গত আটবার আইপিএলের প্রথম ম্যাচ হেরেছে। এ বারও তা-ই হল।

IPL 2021: বিরাটের টিমে এখনও সম্পদ এবিডি
IPL অফ দ্য ফিল্ড
| Updated on: Apr 10, 2021 | 9:31 AM
Share

শরদিন্দু মুখোপাধ্যায়

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৫৯-৯ (২০ ওভারে) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ১৬০-৮ (২০ ওভারে)

র‍য়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে (RCB) ১০ বছর পূর্তি নিয়ে ম্যাচের আগেই কথা হচ্ছিল। সত্যিই এত লম্বা কোনও টিমের হয়ে কেউই খেলে না। তাও আবার এই রকম ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। কিন্তু এবি ডে ভিলিয়ার্স কেন স্পেশাল, সেটা বরাবর বুঝিয়েছে, শুক্রবার আইপিএল (IPL) ১৪-র উদ্বোধনী মঞ্চে আরও একবার দেখাল। এবিডির হাত ধরেই শেষ বলে গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বইকে (Mumbai Indians) হারিয়ে আইপিএলের প্রথম ম্যাচ জিতল বিরাট কোহলির (Virat Kohli) আরসিবি। এবিডি ২৭ বলে ৪৮ করে গেল। রান আউট না হলে ওই উইনিং শট নিত। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে আরসিবির আইপিএল শুরু করাটা কিন্তু বিরাটদের দারুণ আত্মবিশ্বাস দেবে।

আইপিএল মানেই উত্তেজক নানা মুহূর্ত। হঠাত্‍ হঠাত্‍ ম্যাচ পাল্টে যাওয়া। সেখান থেকে খেলা ঘুরিয়ে দিয়ে কারও নামক হয়ে যাওয়া। আইপিএলের বিউগল বাজতে না বাজতে রোমাঞ্চ ছড়াতে শুরু করে দিল। রোহিতের (Rohit Sharma) টিমের ১৫৯ -৯ এর জবাবে শেষ বলে ১৬০-৮ তুলে জিতল আরসিবি। মুম্বই আইপিএলে বরাবরই শুরুটা খারাপ করে। গত আটবার আইপিএলের প্রথম ম্যাচ হেরেছে। এ বারও তা-ই হল।

মুম্বই শুরুটা কিন্তু খারাপ করেনি। রোহিত (১৯) রান আউট হওয়ার একটা চাপ তৈরি হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু সেটা দারুণ ভাবে সামলে দিয়েছিল ক্রিস লিন আর সূর্যকুমার যাদব মিলে। লিন ৩৫ বলে ৪৯ করে গেল আর সূর্য ৩১ করে আউট। আইপিএলে মুম্বইয়ের সাফল্যের সবচেয়ে বড় কারণ হল টিমের চমত্‍কার ভারসাম্য। সাত-আট নম্বর পর্যন্ত ব্যাটসম্যান। অলরাউন্ডারে ছড়াছড়ি। কিন্তু আইপিএল ১৪-র শুরুতেই বিপাকে পড়ল রোহিতের টিম, মিডল অর্ডার রান না পাওয়ায়। ঈশান কিষাণ ২৮ করে আউট হতেই পর পর উইকেট পড়ে গেল মুম্বইয়ের। মাত্র পাঁচ মাস আগে আমিরশাহিতে ওরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচের শুরুতে হয়তো কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল ওরা। মুম্বই যে ধরণের টিম, তাতে ওরা প্রবল ভাবে ফিরে আসবে, সেটা জানতাম। তা-ই হল।

চেন্নাইয়ের পিচ যে স্লো হবে, আগেই লিখেছিলাম। চিন্নাস্বামীতে অবশ্য স্পিনাররা নয়, ছাপ রেখে দুই পেস বোলার। প্রথম জন অবশ্যই হর্ষ প্যাটেল। এ বার টিমটা বেশ গুছিয়ে করেছে আরসিবি। দিল্লি থেকে হর্ষকে নিয়েছে বিরাটরা। প্রথম ম্যাচেই ও টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারের সেরা বোলিং করে গেল। ৪ ওভার বল করে ২৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট। মুম্বইয়ের পুরো মিডল অর্ডারটা হর্ষ একাই খতম করে দিল। ঈশান, হার্দিক পান্ডিয়া (১৩), কায়রন পোলার্ড (৭), ক্রুণাল পান্ডিয়া (৭), মার্কো জেনসন (০) পর পর শিকার হর্ষের। রোহিতের টিমের বিরুদ্ধে এই প্রথম কেউ ৫ উইকেট নিল। সেই সঙ্গে দারুণ বোলিং করল কাইল জেমিসনও। ৪ ওভারে ২৭ দিয়ে নিল ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা সূর্যের উইকেট।

ম্যাচটা বোধহয় পেস বোলারদেরই। আরসিবির দুই পেসারের মতো মুম্বইয়ের বুমরাও খেলাটার রঙ পাল্টে দিল। বিরাট আর ম্যাক্সওয়েল যখন ক্রিজে ছিল, মনে হচ্ছিল ১৫ ওভারে হয়তো ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে। বিরাট শুরু থেকেই ফর্মে আছে। চমত্‍কার শুরুটাও করেছিল। ২৯ বল খেলে ৩৩ করে গেল। বিরাটের আউট হওয়াটাই কিন্তু ম্যাচটার টার্নিং পয়েন্ট। বুমরার বলে বিরাট এলবিডব্লিউ হতেই ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল রোহিত। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল অবশ্য ২৮ বলে ৩৯ করে যায়। বাকি সব কিছু ম্লান করে দিল এবিডি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৫৯-৯ (লিন ৪৯, সূর্য ৩১, ঈশান ২৮, হর্ষ ৫-২৭, জেমিসন ১-২৭, সুন্দর ১-৭)। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ১৬০-৮ (এবি ৪৮, ম্যাক্সওয়েল ৩৯, বিরাট ৩৩, বুমরা ২-২৬, জেনসন ২-২৮)।