
তিনদিনের ভারত সফরে কিংবদন্তি ফুটবলার লিওনেল মেসি। কলকাতা, হায়দরাবাদ, মুম্বই ও দিল্লি-র মতো চার শহরে তাঁকে দেখা যাবে বিশিষ্টদের সঙ্গে ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ করতে। কিন্তু ভারতীয় ফ্যানেদের খানিকটা নিরাশ করেই একটিও ম্যাচ এ দেশে খেলবেন না মেসি। বলে পা ছোঁয়ালেও নব্বই মিনিট বা তার কম সময়েরও একটিও ম্যাচ তিনি খেলবেন না বলেই সূত্রের খবর। ৩৮ বছরের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের ভারত সফরে একটিও ম্যাচ খেলার নির্ঘণ্ট নেই এখনও পর্যন্ত। কিন্তু কেন? মাথায় নিশ্চয় এই প্রশ্নটা ঘুরছে তো? কী এমন হত যদি মেসি এদেশে একটা ম্যাচ খেলতেন? মেসির একটাও ম্যাচ না খেলার পিছনে কারণ তাঁর মহামূল্যবান ‘ইন্স্যুরেন্স’। আরেকটু বিশদে বলি–
আসলে মেসির মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের বিশ্বের সবচেয়ে দামি ইন্স্যুরেন্স পলিসি করা থাকে। খেলতে গিয়ে আচমকা কোনও চোট যদি তাঁদের কেরিয়ারে ক্ষতি করে দেয়, তার হাত থেকে বাঁচাতে। সূত্রের খবর, আট বারের ব্যালন ডি-ওর জয়ী লিও মেসির নামে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলারের বিমা করা রয়েছে। বিমার শর্তে স্পষ্ট বলা রয়েছে, নিজের ক্লাব বা দেশ ছাড়া অন্য কোনও ম্যাচ খেলতে গিয়ে চোট পেলে, বিমার টাকা পাবেন না মেসি। তার মানে, নিজের দেশ আর্জেন্টিনা বা নিজের ক্লাব ইন্টার মিয়ামি ছাড়া অন্য কোনও ম্যাচ খেলতে গিয়ে আহত হলে মেসি বিমার টাকা পাবেন না। কোনও প্রদর্শনী ম্যাচ বা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে গিয়ে আহত হলে তার দায় বিমা সংস্থা নেবে না। ৬ বারের ‘ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট’ জয়ী মেসি- তাই অন্য কোনও ম্যাচ খেলেন না সাধারণত।
এখন ঘটনা হল, বিশ্বের আরও নানা অ্যাথলিটের এইরকমই মোটা অঙ্কের চুক্তি থাকলেও সেখানে এত কড়া শর্ত নেই। যেমন আরেক কিংবদন্তি বাস্কেটবল খেলোয়াড় মাইকেল জর্ডনেরও মোটা অঙ্কের চুক্তি রয়েছে চিকাগো বুলস-এর সঙ্গে। কিন্তু সেই চুক্তিপত্রে ‘লাভ অফ দ্য গেম’ শর্তে তিনি যে কোনও জায়গায় যে কোনও সময় খেলতে পারবেন। তার জন্য নিজের দলের কাছ থেকে কোনও অনুমতি তাঁকে নিতে হয় না। খেলতে গিয়ে যদি জর্ডন আহত-ও হন, তাহলেও তাঁর দলই তাঁর চিকিৎসার খরচ দেবে। সেটা অন্য যে কোনও প্রদর্শনী ম্যাচ খেলার সময় হলেও।