Martina Navratilova: ‘ক্যান্সার ভয় পাইয়ে দিয়েছিল’, কিংবদন্তি টেনিস তারকা তুলে ধরলেন ভয়াবহ স্মৃতি
Tennis-Legend: গত শতাব্দীর সাত ও আটের দশকে নাভ্রাতিলোভা ছিলেন মেয়েদের টেনিসের বিরাট তারকা। বাঁ হাতি টেনিস প্লেয়ারের ছিল সারা বিশ্ব জুড়ে তারকা।
মাদ্রিদ: জোড়া ক্যান্সার ভয় পাইয়ে দিয়েছিল তাঁকে। ভেবেছিলেন, ক্রিসমাস আর দেখতেই পাবেন না হয়তো। সেখান থেকে মুক্তি পেয়েছেন। চিকিৎসকরা সম্প্রতি বলছেন, ক্যান্সার-ফ্রি হয়ে গিয়েছেন কিংবদন্তি টেনিস প্লেয়ার মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা। ৬৬ বছরের প্রাক্তন টেনিস প্লেয়ার ক্যান্সারের খবর শুনে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। এক সময় টেনিস কোর্টে যিনি একের পর এক রেকর্ড গড়েছিলেন, অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের গল্প শোনাতেন, সেই তিনিই নিজের জীবন নিয়ে আশঙ্কায় পড়ে গিয়েছিলেন। কী ভাবে মুক্তি পেলেন তিনি? কতটা ভয় পেয়েছিলেন, সেই গল্পই তুলে ধরেছেন নাভ্রাতিলোভা। তুলে ধরল TV9 Bangla।
একটি টিভি ইন্টারভিউতে নাভ্রাতিলোভা বলেছেন, ‘ক্যান্সার ধরা পড়ার পর আমি প্রচন্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এতটাই ভয় পেয়েছিলাম যে, মনে হয়েছিল ক্রিসমাসটা দেখতেই পাব না। তখন মাথায় এসেছিল একটাই জিনিস, যা যা আমি করতে পারিনি, করে যেতে চাই। আমার কথাটা শুনে অদ্ভুত লাগতে পারে। কিন্তু তখন সত্যিই মনে হয়েছিল, যে গাড়ি আমি চালাতে চাই, যদি এক বছর বাঁচি, তা হলে সেটাই চালাব। কিন্তু এখন বলতে পারি, আমি ক্যান্সার ফ্রি।’
২০১০ সালে ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়েছিল নাভ্রাতিলোভার। সুস্থও হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু গত বছর আবার ক্যান্সার ধরে পড়ে তাঁর। আর তার জন্য তিন সপ্তাহ প্রতিদিন রেডিয়েশন নিতে হয়েছে নাভ্রাতিলোভাকে। যা নিয়ে তিনি বলছেন, ‘ওটা আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়। তার কারণ, প্রথম সপ্তাহে কেমো আর রেডিয়েশন দুটোই চলেছিল। এই পরিস্থিতিতে থেকে কী ভাবে বেরোব, কত দিনে সুস্থ হব, সেটাই শুধু ভাবতাম। ধীরে ধীরে উন্নতি হতে শুরু করল। তখন একটু একটু করে নিজেকে ফিরে পাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল, কঠিন সময় কেটে গিয়েছে।’
গত শতাব্দীর সাত ও আটের দশকে নাভ্রাতিলোভা ছিলেন মেয়েদের টেনিসের বিরাট তারকা। বাঁ হাতি টেনিস প্লেয়ারের ছিল সারা বিশ্ব জুড়ে তারকা। বিশ্ব টেনিসে এমন কোনও কোর্ট নেই, যেখানে সাফল্য পাননি। সাময়িক অবসর নিয়ে আবার ফিরেছিলেন টেনিসে।