কলকাতা: কোভিড ভ্যাকসিন না নেওয়ার কারণে বিস্তর ঝামেলা পোহাতে হয়েছে সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচকে (Novak Djokovic)। সহ্য করতে হয়েছে সমালোচনা। পাশাপাশি কেরিয়ারের দিক থেকেও মাশুল দিতে হয়েছে। গতবছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে না খেলেই ফিরতে হয়েছিল। খেলতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্র ওপেনেও। কোভিড ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) নিয়ে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছেন। যার ফলে মেজর টুর্নামেন্ট মিস করায় ব়্যাঙ্কিংয়ে নীচে নেমে গিয়েছিলেন। খোয়াতে হয়েছিল পুরুষদের টেনিস ব়্যাঙ্কিংয়ের একনম্বর আসনটিও। গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের ক্ষেত্রে সমসাময়িক প্রতিপক্ষ রাফায়েল নাদালের থেকে পিছিয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি ভ্যাকসিন স্ট্যাটাসের জন্য সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ওয়েলস এবং মিয়ামি ওপেনে অংশ নেওয়ার অনুমতি পাননি। তাতে অবশ্য আফসোস নেই জকোভিচের। বরং বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম ইউএস ওপেনে খেলার সুযোগ পাবেন বলে আশাবাদী জোকার। বিস্তারিত TV9 Bangla-রএই প্রতিবেদনে।
ইন্ডিয়ান ওয়েলস এবং মিয়ামি ওপেন খেলার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে বিশেষ আবেদন করেছিলেন নোভাক জকোভিচ। কোভিড ভ্যাকসিনের কারণে ৩৫ বছরের টেনিস তারকার আবেদনে সাড়া দেয়নি ইউএস সরকার। ভ্যাকসিন না নেওয়া বিদেশিদের দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সাধারণ মানুষ থেকে নোভাক জকোভিচের মতো সেলিব্রিটি কেউ বাদ পড়ছেন না এই নিয়ম থেকে। ইন্ডিয়ান ওয়েলস টুর্নামেন্ট খেলতে না পারায় এটিপি ব়্যাঙ্কিংয়ে ফের একবার শীর্ষস্থান হারাতে হয়েছে তাঁকে। গত রবিবার সার্বিয়ান টেনিস তারকাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছেন কার্লোস আলকারেজ।
আফসোস হয় না? সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জোকার বলেছেন, “আমার কোনও আফসোস নেই। সারাজীবন ধরে এটাই জেনে এসেছি যে আফসোস তোমাকে পিছনের দিকে ঠেলে দেয়। আফসোস মানেই অতীতে বাস করা। আমি সেটা চাই না। একইসঙ্গে ভবিষ্যৎ নিয়েও বাঁচতে চাই না। যতটা সম্ভব বর্তমানে থেকে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করতে পারি। যাতে আরও ভালো ভবিষ্যৎ গড়তে পারি। আলকারেজকে শুভেচ্ছা। ও ব়্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর পজিশনের জায়গায় ফিরে আসার যোগ্য।”