কলকাতা: তিলোত্তমা সেন। বাংলার শুটিং আকাশের নতুন তারা। কায়রোতে চলতি আইএসএসএফ বিশ্বকাপে (ISSF World Cup 2023) ভারতের ঝুলিতে ব্রোঞ্জ এল চোদ্দ বছরের তিলোত্তমার (Tilottama Sen) হাত ধরে। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে (10m air rifle) পোডিয়াম ফিনিশ করেছে তিলোত্তমা। সোনার পদক গিয়েছে গ্রেট ব্রিটেনের সিওনেড ম্যাকিনটোসের কাছে। অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন সুইৎজারল্যান্ডের নিনা ক্রিশ্চিয়ানকে হারিয়ে সোনা জেতেন ম্যাকিনটোস। তিলোত্তমা সোনার পদক হাতছাড়া করলেন ০.১ মার্জিনে। ২৬২.০ স্কোর গড়ে শীর্ষ আটে পৌঁছন। তাঁর মেডেল প্রতিযোগিতার ভারতের পঞ্চম পদক। তিনটি সোনা ও দুটো ব্রোঞ্জ। মেহুলি ঘোষ, ইলাভেনিল ভালরিভান, মানু ভাকেরদের পাশে দেশের প্রতিভাবান শুটারদের তালিকায় মধ্যে নাম জুড়ে গেল তিলোত্তমার। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই বিশ্বকাপ পদক তাঁর ঝুলিতে। বিস্তারিত TV9 Bangla–র এই প্রতিবেদনে।
মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে রমিতা এবং নর্মদা নামে আরও দুই ভারতীয় শুটারের ছিল তিলোত্তমা। নর্মদা সপ্তম স্থানে শেষ করে ছিটকে যায়। তিলোত্তমা এবং রমিতা টাইটেল রাউন্ডের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে। খেতাবের লড়াই এই দুই ভারতীয় কন্যে পেরে ওঠেনি অভিজ্ঞ সিওনেড এবং অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন নিনার কাছে। রমিতা চতুর্থ স্থানে শেষ করে পদকের দৌড় থেকে ছিটকে যায়। তিলোত্তমা তৃতীয় স্থানে শেষ করে ব্রোঞ্জ জিতে নেয়। দিনের প্রথমেই ছেলেদের এয়ার রাইফেলে সোনা জেতে রুদ্রাক্ষ পাটিল। তিনটি সোনা ও দুটো ব্রোঞ্জ নিয়ে হাঙ্গেরি, ব্রিটেন এবং স্লোভাকিয়ার সঙ্গে পদক তালিকার উপরের দিকেই রয়েছে ভারত।
বেঙ্গালুরুর প্রবাসী বাঙালি তিলোত্তমা সুজিত সেন ও নন্দিতা সেনের মেয়ে। টেক মাহিন্দ্রার কর্মী সুজিত সেন লকডাউনের সময় মেয়েকে বাড়ির কাছের একটি শুটিং রেঞ্জে নিয়ে যান। বাড়িতে থাকতে থাকতে ১১ বছরের তিলোত্তমা কার্টুন চ্যানেলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিল। বাস্কেটবল ও ক্যারাটের প্রতি আগ্রহী তিলোত্তমা অল্প দিনের মধ্যে শুটিংও ভালোবেসে ফেলে। কায়রো আইএসএসএফ বিশ্বকাপে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগও চলে আসে। মেয়ের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বেঙ্গালুরুর সেন পরিবার। মেয়ে পদক জিততেই মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে আসেন সেন দম্পতি।