
গুজরাটের সুরাটে এ বার বসতে চলেছে জাতীয় গেমসের (National Games) আসর। ৩৬তম জাতীয় গেমসের আগে শংকরধাম স্পোর্টস অ্যাকাডেমিতে এক কনক্লেভের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই কনক্লেভে হাজির ছিলেন টোকিও অলিম্পিকে সোনাজয়ী ভারতীয় জ্যাভলিন তারকা নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra), দুই বারের অলিম্পিকজয়ী পিভি সিন্ধু (PV Sindhu) এবং ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষ্মণও (VVS Laxman)। (ছবি- সাই মিডিয়া)

ওই কনক্লেভে দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তার একটি হল জাতির উন্নয়নে ক্রীড়ার ভূমিকা এবং দ্বিতীয়টি হল নতুন শিক্ষা নীতি ও খেলাধুলা নিয়ে। এই কনক্লেভে বিভিন্ন খ্যাতনামা ক্রীড়াবিদ, প্রাক্তন ক্রীড়াবিদ এবং শিক্ষা ও ক্রীড়া ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন। (ছবি- সাই মিডিয়া)

জাতীয় গেমসের কনক্লেভে দু'বারের অলিম্পিকজয়ী পিভি সিন্ধু বলেন, "একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে, মানসিকভাবে আপনাকে খুব শক্তিশালী হতে হবে। এমন দিন আসে যখন সেটা করে ওঠা সম্ভব হয় না। তখন নিজেকে ভাবতে হবে যে, 'হ্যাঁ আমি এটা করতে পারি'। যখন আপনি জীবনের একটি লক্ষ্য ঠিক করেন এবং সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য কী করতে হবে তা নিয়ে চিন্তা করেন, আমি মনে করি সেই সময় মানসিক শক্তি এবং ইচ্ছাশক্তির জোর থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটাই সব সময় আপনাকে পরবর্তী স্তরে এগিয়ে নিয়ে যাবে।" (ছবি- সাই মিডিয়া)

টোকিও অলিম্পিকে সোনাজয়ী ভারতীয় জ্যাভলিন সুপারস্টার নীরজ চোপড়াও সিন্ধুর সঙ্গে একমত। তিনি বলেন, "একজন ক্রীড়াবিদকে অনেক সময় কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। আশেপাশের লোকেরা যদি আপনার দিকে প্রশ্ন তুলতে থাকেন, এবং বলেন, "আপনি এটা করতে পারবেন না"। তখন মানসিক স্থিতি টলে যায়। এই ক্ষেত্রে আমি বিশ্বাস করি যে, যে জিনিসটি তাদের সাহায্য করে, সেটি হল আত্মবিশ্বাস। এবং যদি তাদের মধ্যে এই আত্মবিশ্বাসটা থাকে তবে তারা অনেক দূর এগিয়ে যাবে।" (ছবি- সাই মিডিয়া)

প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষ্মণ জানান, কীভাবে খেলাধুলা চরিত্র গঠন করে। এবং ক্রীড়া কীভাবে জাতি গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, "খেলাধুলা আপনাকে চ্যালেঞ্জ নিতে শেখায়। এটি আপনাকে স্বপ্ন দেখতে এবং সম্পূর্ণ আবেগের সঙ্গে কিছু করতে শেখায়। এটা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এবং প্রতিটি পেশায় প্রযোজ্য। খেলাধুলা জাতি গঠনেও সহায়তা করে।" (ছবি- সাই মিডিয়া)