US Open 2023: ফ্লাশিং মিডোয় ম্যাজিক! ইউএস ওপেনের ফাইনালে গফ বনাম সাবালেঙ্কা
ফাইনালে গফের আগ্রাসন বনাম সাবালেঙ্কার অভিজ্ঞতা চাক্ষুস করার জন্য মুখিয়ে রয়েছে টেনিস দুনিয়া। ফ্লাশিং মিডোয় মেয়েদের টেনিসে খেতাব জেতার জন্য তৈরি গফ, সাবালেঙ্কা।

নিউ ইয়র্ক: নাটকীয় ভাবে ইউএস ওপেনের (US Open 2023) সেমিফাইনালে জিতলেন কোকো গফ (Coco Gauff) ও আরিনা সাবালেঙ্কা (Aryna Sabalenka)। ছেলেদের টেনিসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক বেশি। কিন্তু মেয়েদের টেনিসও যে আগের এতে বেশি উত্তেজক হয়ে উঠছে, ফ্লাশিং মিডোয় চোখ রাখলেই বোঝা যাচ্ছে। সেরেনা উইলিয়ামসের পর গফ দ্বিতীয় টেনিস প্লেয়ার যিনি ১৯ বছর বয়সেই চমকে দেখাতে শুরু করেছেন। রোলাঁ গারোর ফাইনালে ওঠার পর আবার ইউএস ওপেনের খেতাবের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছেন। মেয়েদের অন্য সেমিফাইনালে ফেভারিট ছিলেন মার্কিন তারকা ম্যাডিসন কিজ়। হয়তো তিনি জিতেও যেতেন। যদি না সাবালেঙ্কার দুরন্ত প্রত্যাবর্তন হত। প্রথম সেট হেরেও অবিশ্বাস্য ফিরে এসেছেন সাবালেঙ্কা। শেষ পর্যন্ত অবাক করে দিয়ে জিতে নিয়েছেন সেমিফাইনাল। TV9Bangla Sports এ বিস্তারিত।
প্রথম সেট গফ ৬-৪ জিতেছিলেন। তবে ক্যারোলিনা মুকোভা যে বিব্রত করেননি তা নয়। কিন্তু দ্বিতীয় সেটে চমকের বাকি ছিল। গফ দ্বিতীয় সেটে ৫-৩ এগিয়ে ছিলেন। ম্যাচ প্রায় মুঠোয়। সেখান থেকেই মুকোভা পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। একটা সময় সমানে সমানে চলছিল ম্যাচ। মনে হচ্ছিল তৃতীয় সেটের দিকে গড়াতে চলেছে সেমিফাইনাল। ষষ্ঠ ম্যাচ পয়েন্ট ৪০-বল ব়্যালিতে জেতেন গফ। যা টুর্নামেন্টের সবচেয়ে লম্বা ম্যাচ পয়েন্ট ব়্যালি। ফাইনালে উঠে গফ বলছেন, ‘আমি নিজের উপর ফোকাস করেছিলাম। নিজে কী চাই, আমার প্রত্যাশা কী, তাতেই জোর দিয়েছিলাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় লোকে কী বলছে, লোকে কী বিশ্বাস করে, তাতে নজর দিইনি। এই ম্যাচটার পর বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি যে, আমার পরিণত বোধ এসেছে।’
সাবালেঙ্কার ম্য়াচ আরও বেশি নায়কীয়। প্রথম সেট হারের পর দ্বিতীয় সেটও খোয়াতে বসেছিলেন। ৩-৫ পিছিয়েও ছিলেন। সেখান থেকে দুরন্ত ফিরে আসেন। একটা ম্যাচ জেতার জন্য যা যা দরকার পড়ে, দ্বিতীয় সেট থেকেই তাই করতে শুরু করেন। তৃতীয় সেটেও সাময়িক ভাবে পিছিয়ে পড়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে আসতে অসুবিধা হয়নি। ০-৬, ৭-৬ (১), ৭-৬ (৫)এ শেষ পর্যন্ত জিতে যান। ম্যাডিসনের বিরুদ্ধে সাবালেঙ্কার এই জয় দেখে অবাক হয়ে গিয়েছে টেনিস দুনিয়া। সাবালেঙ্কার কথায়, ‘ম্য়াডিসন অবিশ্বাস্য খেলছিল। মনে হচ্ছিল, সবই যেন ধংস্ব করে দেবে। ওর বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারছিলাম না। সেই অর্থে কোনও নিয়ন্ত্রণই ছিল না আমার। নিজেকে জিজ্ঞেস করছিলাম, এ ভাবেই কি চলবে? অনেক সময় নিজেকে জোর করতে হয়। ধৈর্য রাখতে হয়। হয়তো তখনই একটা ম্যাচ ঘোরানো সম্ভব হয়। কী ভাবে পারলাম জানি না। বোধহয় ম্যাজিকই হয়েছিল। কিন্তু ম্যাচটা আমি ঘোরাতে পেরেছি, জিততে পেরেছি।’
ফাইনালে গফের আগ্রাসন বনাম সাবালেঙ্কার অভিজ্ঞতা চাক্ষুস করার জন্য মুখিয়ে রয়েছে টেনিস দুনিয়া। ফ্লাশিং মিডোয় মেয়েদের টেনিসে খেতাব জেতার জন্য তৈরি গফ, সাবালেঙ্কা।
