
হানঝাউ: এষা সিং। ভারতীয় শুটিংয়ে এখন পরিচিত নাম। এশিয়ান গেমসে রুপোর পদকে এই পরিচিতি বেড়েছে। মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে অনেকের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন। সেই এষা সিংয়েরই ঘুম উড়েছিল এশিয়ান গেমসে। সাফল্যর খিদে। স্ট্যান্ডে থাকছেন সুপার ফ্যান! ভালো পারফরম্যান্স তো করতেই হবে। এই তাগিদটাই সাফল্য এনে দিয়েছে। জুনিয়র স্তরে বিশ্ব চ্য়াম্পিয়নশিপে তিনটি সোনা, একটি করে রুপো ও ব্রোঞ্জ পদক রয়েছে তাঁর। সিনিয়র স্তরেও সাফল্যের ধারা বজায় রেখেছেন। এ বছর বাকুতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে জোড়া সোনা। এশিয়ান গেমসে রুপো। স্ট্যান্ড থেকে লাগাতার চিৎকার, ‘পাকড় কে রাখনা’। এষার সুপার ফ্যান কে জানেন? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
হানঝাউতেই এশিয়ান গেমস অভিষেক এষার। আর প্রথম বারই রুপো। কিন্তু আলোচনায় উঠে এসেছে তাঁর সুপার ফ্যান। যিনি স্ট্যান্ড থেকে ভরসা জুগিয়েছেন। একটা মেয়ের কাছে তাঁর সবচেয়ে বড় ফ্যান বাবা ছাড়া আর কে হতে পারে? ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার সহ সভাপতি দেশের অন্যতম সেরা শুটার গগন নারাংই খোলসা করলেন, স্ট্যান্ডের সেই চিৎকারের রহস্য। অলিম্পিকে পদক জয়ী গগন নারাং বলছেন, ‘উনি এষার বাবা, সচিন।’
পদক জিতে এষাও বলেছেন, ‘এটা প্রথম বার নয়। বাবা এমনই করে।’ একই ইভেন্টে ছিলেন ভারতের আর এক শুটার মানু ভাকের। তবে পদক জিততে পারেননি। এষা কিন্তু ফোকাস হারাননি। তাঁর বাবা সচিন বলছেন, ‘ম্যাচের আগেও চেষ্টা করেছি, ও যাতে ফোকাস না হারায় সে দিকে নজর রাখতে। ওর জন্য় একটু সমস্যাই হচ্ছিল। ইভেন্টের আগে ২-৩ দিন ঘুমোতে পারেনি।’
প্রথম বার এশিয়ান গেমসের মতো টুর্নামেন্টে নামার কারণেই হয়তো বাড়তি উত্তেজিত ছিলেন এষা। তাঁর ফোকাস ঠিক রাখতে ইভেন্টের আগের দিন পরিবারের সঙ্গে গ্রুপ ভিডিয়ো কলও করেছেন। পিছিয়ে পড়েও রুপোর পদক, এই প্রত্যাবর্তনে পরিবারের পাশে থাকা এবং ‘সচিনের’ সেই চিৎকারেরও বড় অবদান রয়েছে।