ঢাকা: অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়রা বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games 2022) গিয়েছিলেন দেশের হয়ে পদক জিততে। বাংলাদেশের দুই টেবল টেনিস (Table Tennis) খেলোয়াড় সাদিয়া রেহমান এবং সোনম সুলতানার মানসিকতা ছিল তার থেকে অনেকটাই আলাদা। ম্যাচের দিন দু’জনে লন্ডনে আত্মীয়র বাড়িতে ঘুরতে চলে যান। যদিও তাঁদের দাবি, চোট পাওয়ায় তাঁরা খেললেননি। কমনওয়েলথ গেমস শেষ হয়েছে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। মাসের শেষদিকে দুই টেবল টেনিস খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসের ৫ অগস্ট কমনওয়েলথ গেমসে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ সাপসিনস এবং হো টিন টিন জুটির বিরুদ্ধে টিটি ডাবলসের ম্যাচ ছিল সোনম ও সাদিয়ার। ম্যাচের আগের দিন সোনম চোট পান। অথচ চোটের বিষয়ে জানানো হয়নি। বাংলাদেশের টিটি ফেডারেশনের সচিব জাহাঙ্গির আলম বলেন, “ম্যাচের আগের দিন আমরা চিকিৎসকের কাছে সোনমকে নিয়ে যাই। ডাক্তার ওর খেলার বিষয়ে আমাদের নিশ্চিত করেন। ঠিকমতো বিশ্রাম নিলে প্রতিযোগিতায় নামতে অসুবিধে হবে না।” চিকিৎসক আশ্বস্ত করলেও পরদিন খেলতে নামেননি সোনম। ইংল্যান্ডের জুটিকে ওয়াকওভার দিয়ে দেওয়া হয়। সেদিনই ভিলেজ ছেড়ে বেরিয়ে লন্ডন ঘুরতে চলে যান সোনম ও সাদিয়া। জাহাঙ্গির আলম বলেন, “ওরা যখন বেরিয়েছিল, আমি ওখানেই ছিলাম। বারণ করা সত্ত্বেও বেরিয়ে যায়।”
গত শনিবার ফেডারেশনের তরফে দুই টেবল টেনিস খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিময়মতো দু’জনকে কারণ দর্শানোর জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। দুই খেলোয়াড়ের কাছে উপযুক্ত জবাব পেলে তবেই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ভেবে দেখবে টেবল টেনিস ফেডারেশন। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে সাদিয়া রেহমান এবং সোনম সুলতানাকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হবে।
একে বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা কমনওয়েলথ গেমসে বিশেষ পাত্তা পায় না। বছরের পর বছর ধরে বেশিরভাগ অ্যাথলিটদের খালি হাতে ফিরতে হয়। বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসে একটিও পদক আসেনি বাংলাদেশের ঘরে। তার উপর অ্যাথলিটদের এমন মানসিকতায় ক্ষুব্ধ সেদেশের ক্রীড়ামহল। তাঁর উপর ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সোনম।