
উইম্বলডন: তারুণ্যের জয়গান উইম্বলডনে (Wimbledon)। সার্বিয়ান সুপারস্টার নোভাক জকোভিচকে (Novak Djokovic) হারিয়ে উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন স্প্যানিশ তরুণ তুর্কি কার্লোস আলকারাজ। এ বারের উইম্বলডনে মহিলাদের সিঙ্গলসে নতুন চ্যাম্পিয়ন পাওয়া গিয়েছিল। পুরুষদের সিঙ্গলসেও পাওয়া গিয়েছে নতুন চ্যাম্পিয়ন। কেরিয়ারের ২৪তম গ্র্যান্ড স্লামের সামনে পৌঁছেও ছুঁতে পারলেন না জোকার। যে ঘাসের কোর্টে এতদিন অপ্রতিরোধ্য ছিলেন জোকার, সেখানেই এ বার ‘রাজ’ করলেন কার্লোস আলকারাজ (Carlos Alcaraz)। ফাইনালের শেষেও যেন আলকারাজের বিশ্বাস হতে খানিকটা সময় লেগেছিল যে, সত্যিই তিনি নোভাক জকোভিচকে হারিয়েছেন। ২০ বছরের আলকারাজের এই কীর্তি ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে। জকোভিচকে হারিয়ে কী বললেন আলকারাজ? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
উইম্বলডনে পুরুষদের সিঙ্গলসের ফাইনালে ৫ সেটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হাসি ফোটে কার্লোস আলকারাজের মুখে। ৪ ঘণ্টা ৪২ মিনিট ধরে চলে জকোভিচ-আলকারাজের লড়াই। উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হয়ে আলকারাজ বলেন, ‘স্বপ্নপূরণ হয়েছে। আমার বয়স ২০। এই রকম অভিজ্ঞতা আগে খুব একটা হয়নি। আজ যেটা করতে পেরেছি, এটা আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। নোভাকের সেরা সময়ে ওকে হারিয়ে ইতিহাস তৈরি করতে পেরেছি। যেখানে তিনি ১০ বছর ধরে অপরাজিত ছিলেন, সেখানে তাঁকে হারানোর আনন্দই আলাদা।’
টেনিসের রাইজিং স্টারদের কাছে আলকারাজের এই কীর্তি এক বড় উদাহরণ হয়ে থাকবে। এই নিয়ে আলকারাজ বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম আমাকে এ ভাবে জকোভিচকে হারাতে দেখল, যা ওদের মধ্যে আশা জোগাবে। ওরাও এমনটা করতে পারে সেই বিশ্বাস এনে দেবে। এই জয় আমার কাছে যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটাই বাকি তরুণ প্লেয়ারদের জন্যও।’
আলকারাজ জানান তিনি যখন থেকে টেনিস খেলা শুরু করেছিলেন, সেই সময় থেকেই নোভাক জকোভিচকে হারানো এবং উইম্বলডন জেতার স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপ্ন এ বার পূরণ হল কার্লোসের। বরিস বেকার, বিয়ন বর্গের পর তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ টেনিস প্লেয়ার হিসেবে উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন আলকারাজ। এই জয়ের পর তিনি বলেন, ‘বরাবরই উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হতে চাইতাম। কিন্তু সত্যি বলতে এত তাড়াতাড়ি সেই স্বপ্নপূরণ হবে, কল্পনাও করতে পারিনি। এই ম্যাচের আগে ভাবতেও পারিনি যে জকোভিচকে পাঁচ সেটের লড়াইয়ে হারানোর জন্য আমি তৈরি। একটা দারুণ ম্যাচ হল। তাঁর মতো কিংবদন্তির বিরুদ্ধে ৫ ঘণ্টা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা দরকার ছিল। আমি নিজে নিজেই অনেক কিছু শিখেছি।’