Saina Nehwal: সাইনাই আমাদের স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিল, কে বলছেন এমন কথা?

২০০৬ সালের পর এই প্রথম তাঁকে ছা়ড়া এশিয়ান গেমস (Asian Games) খেলতে যাচ্ছে ভারতীয় টিম। বিদেশের মাটিতে যিনি সাফল্যের রুপোলি রেখা দেখিয়েছিলেন, স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, সেই সাইনা নেহওয়ালকে পাওয়া যাবে না। চোটের কারণে জুন মাস থেকে কোর্টে নেই। হাঁটুর চোট সারিয়ে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু হাঁটুর চোটের হাল এখনও ভালো নয়। একটা সেশন ট্রেনিং করলেই হাঁটুতে জ্বালাবোধ করছে। যে কারণে ইচ্ছে, চেষ্টা থাকলেও সেরাটা দিতে পারছেন না।

Saina Nehwal: সাইনাই আমাদের স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিল, কে বলছেন এমন কথা?
সাইনাই আমাদের স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিল, কে বলছেন এমন কথা?

| Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Sep 17, 2023 | 7:00 AM

নয়াদিল্লি: ২০০৬ সালের পর এই প্রথম তাঁকে ছা়ড়া এশিয়ান গেমস (Asian Games) খেলতে যাচ্ছে ভারতীয় টিম। বিদেশের মাটিতে যিনি সাফল্যের রুপোলি রেখা দেখিয়েছিলেন, স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, সেই সাইনা নেহওয়ালকে পাওয়া যাবে না। চোটের কারণে জুন মাস থেকে কোর্টে নেই। হাঁটুর চোট সারিয়ে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু হাঁটুর চোটের হাল এখনও ভালো নয়। একটা সেশন ট্রেনিং করলেই হাঁটুতে জ্বালাবোধ করছে। যে কারণে ইচ্ছে, চেষ্টা থাকলেও সেরাটা দিতে পারছেন না। সাইনা নিজেও জানেন না, পুরো ফিট হয়ে কোর্টে ফিরতে পারবেন কিনা। যদি না পারেন, তা হলে হয়তো ব্যাডমিন্টনকে বিদায় জানাতে হবে। অবসরের ইঙ্গিত দিয়েও রেখেছেন। পরিস্থিতি যখন কঠিন, তখন এইচএস প্রণয়ের মতো তারকা শাটলার বলে দিচ্ছেন, সাইনা সাফল্য না পেলে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন (Badminton) এতটা পথ এগোতে পারত না। TV9Bangla Sports এ বিস্তারিত।

২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক থেকে ব্রোঞ্জ নিয়ে ফিরেছিলেন সাইনা। হরিয়ানার মেয়ের এই সাফল্য জোয়ার এনেছিল ভারতে। সেই পথে হেঁটেই একে একে পিভি সিন্ধু, এইচএস প্রণয়, লক্ষ্য সেনরা উঠে এসেছেন। সাফল্য পেয়েছেন। যে কারণে সাইনাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রণয়। তাঁর কথায়, ‘সাইনা বিরাট পার্থক্য় গড়ে দিয়েছিল সে সময়। স্বপ্ন দেখার চোখই পাল্টে দিয়েছিল। ওই সময় কোনও ভারতীয় শাটলার ছিল না যে চিন, জাপান, কোরিয়ার প্লেয়ারদের বিরুদ্ধে লড়ত, জয় পেত। তখনও পর্যন্ত আমরা ওই দেশগুলোর নামই শুধু শুনেছিলাম, দেখিনি চোখে। ওকে চোখের সামনে পাওয়া, ওর সঙ্গে ট্রেনিং, আমাদের বিশ্বাস বাড়াতে শুরু করেছিল। মনে হয়েছিল, সাইনা যখন পারছে, আমরাও পারব।’

সাইনার সাফল্য প্রমাণ করে দিয়েছিল, আন্তর্তাজিক আঙিনায় সাফল্য পেতে হলে প্রতিভা, স্কিলের থেকেও বেশি কিছু দরকার। প্রণয় বলছেন, ‘সাইনার দায়বদ্ধতা নিয়ে কোনও কথা হবে না। যে ভাবে ও ট্রেনিং করত, ট্রেনিং সেশনে নিজেকে উজাড় করে দিত, আমরা জুনিয়ররা ওকে দেখে শিখতাম। বুঝতে পেরেছিলাম, যদি দায়বদ্ধতা থাকে, তা হলে আমরাও অনেক দূর যেতে পারব। ওর মধ্যে জয়ের খিদে ছিল। ঈশ্বরপ্রদত্ত শাটলার ও ছিল না। দিনের পর দিন চেষ্টা করে এই জায়গাটাতে পৌঁছেছিল সাইনা।’

সর্বভারতীয় কাগজে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রণয় বলে দিয়েছেন, ‘এমন নয় যে, চাইলেই সাফল্য পাওয়া যায়। তার জন্য় কঠিন পরিশ্রম করতে হয়। সাইনাকে গত এক দশক ধরে দেখছি। ও নিশ্চিত ভাবেই আমাদের পথ দেখিয়েছে।’