
লন্ডন: রাফায়েল নাদাল, নোভাক জকোভিচ, রজার ফেডেরার এবং অ্যান্ডি মারে। উইম্বলডনে ২০০২ সাল থেকে এই চার জনের মধ্যেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ট্রফি গিয়েছে। রেকর্ড সাত বার উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন নোভাক জকোভিচ। উইম্বলডনে টানা ৩৪ ম্যাচ জিতে এ বারের ফাইনালে নেমেছিলেন নোভাক। অনবদ্য শুরুর পরও এক তরুণ খেলোয়াড়ের কাছে ট্রফি হারাতে হবে, এতটা হয়তো প্রত্যাশা করেননি। প্রতিপক্ষকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিতে ভুললেন না। তেমনই জানালেন, এই প্রতিরোধে অবাক। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
কেরিয়ারের দ্বিতীয় এবং উইম্বলডনে প্রথম গ্রান্ড স্লাম ট্রফি কার্লোস আলকারাজের। ফাইনালে হারান কিংবদন্তি নোভাক জকোভিচকে। রেকর্ড ২৪ নম্বর গ্র্যান্ড স্লামের লক্ষ্যে নেমেছিলেন সার্বিয়ান তারকা। হারের হতাশা নয়, বরং ম্যাচ শেষে তরুণ প্রতিপক্ষর জন্য সমীহ, সম্মান এবং গর্বের কথা নোভাকের। বলেন, ‘ভেবেছিলাম তুমি আমাকে ক্লে কোর্ট কিংবা হার্ড কোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। তবে ঘাসের কোর্টে! আশা করিনি।’
নোভাকের সঙ্গে আলকারাজের বয়সের পার্থক্য ১৬ বছর। ১৯৭৪ সালের পর উইম্বলডনে চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সের এতটা পার্থক্য। নোভাক আরও যোগ করেন, ‘এই কোর্টের সঙ্গে এত দ্রুত যে ভাবে মানিয়ে নিয়েছো, দুর্দান্ত। কেউই এ ভাবে হারতে চায় না। তবে আবেগের চাদর সরিয়ে একটা কথা বলতে পারি, আমি গর্বিত, এখানে অনেক কঠিন ম্যাচ এবং ট্রফি জিতেছি। এ বার আমার চেয়ে সেরা প্লেয়ারের কাছে হেরেছি। ওকে অনেক শুভেচ্ছা।’ উইম্বলডনে ২০১৭ সালে শেষ বার কোনও ম্যাচ হেরেছিলেন নোভাক জকোভিচ। আরও যোগ করেন, ‘দিনের শেষে ম্যাচের কোয়ালিটিটাও গুরুত্ব রাখে। যোগ্য হিসেবেই তুমি জিতেছ।’