
নিউ ইয়র্ক: সুখস্মৃতি যেমন আছে, তেমনই লেগে রয়েছে কান্না। সেই (US Open 2023) আবার ফিরলেন নাওমি ওসাকা (Naomi Osaka)। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে বক্তব্য রাখতে আবার ফ্লাশিং মিডোয় এলেন জাপানি টেনিস প্লেয়ার। গত বছর এই আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামেই প্রথম রাউন্ডে ছিটকে গিয়েছিলেন ২৫ বছরের টেনিস প্লেয়ার। তার পর থেকে কার্যত আর কোর্টে দেখা যায়নি তাঁকে। সদ্য জন্ম দিয়েছেন সন্তানের। ওসাকার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেওয়া সে সময় ভাবিয়ে তুলেছিল অনেককেই। মেয়েদের টেনিসে তিনি স্বতন্ত্র জায়গা করে নিয়েছিলেন। সেই ওসাকা আবার মুখ খুললেন মনোরাজ্য নিয়ে। TV9Bangla Sports তুলে ধরল বিস্তারিত।
মাইকেল ফেলপসের মতো অলিম্পিকে ২৩টা সোনাজয়ী তারকা, আমেরিকার সার্জন জেনারেল বিবেক মূর্তি ছিলেন। ফ্লাশিং মিডোয় দু’বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন জাপানি তারকা। সেখানে ওসাকা বলেছেন, ‘এখানে আবার ফিরে আসার অর্থ আমার কাছে অন্য রকম । এই যে ঘরে বসে আছি, এখানে কোথাও কোথাও হয়তো এখনও কান্না লেগে আছে। এখানে ফিরে এসে ভালো লাগছে। অনেকটা পুরনো বন্ধুকে আবার ফিরে পেলাম।’
মানসিক স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে মেয়েদের টেনিসে প্রাক্তন এক নম্বর প্লেয়ার ওসাকা বলেছেন, ‘ব্যাপারটা খুব আকর্ষণীয়। একই সঙ্গে দীর্ঘ কিন্তু ছোট্ট একটা ব্যাপার। যখন সরে দাঁড়াই, মনে আছে আমি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দেখছিলাম। ভীষণ ভেঙে পড়েছিলাম তখন। কারণ আমি এর আগে কখনও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন মিস করিনি। সেরেনা আর ভেনাসকে খেলতে দেখছিলাম। ওদের দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল, ওদের বয়সে আমি কোনও দিন খেলব না।’
২০২১ সালে ফরাসি ওপেনের সময় প্রথম বার নিজের সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলেন। ‘খেলাটার প্রতি ভালোবাসা আছে, কিন্তু এটাও বুঝতে পেরেছি, আমি চিরকাল খেলে যেতে পারব না। ৩ বছর বয়স থেকে টেনিস খেলছি। কিন্তু আগাম বোঝা সম্ভব নয় যে, আগামী দিনে কী করব।’
ফেলপস তুলে ধরেছেন ১০ বছর আগে অন্ধকার সময়ের কথা। বলেছেন, ‘আমি কোনও দিন এই বিষয় নিয়ে কথা বলিনি। বলা উচিত, বলতে চাই না। ১০ বছর আগের সেই সময় আমি বেঁচে থাকতে চাইনি। নিজের পরিবার নিয়ে দশটা কঠিন বছর কাটিয়েছি। একটা সময় পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে, আগ্নেয়গিরি ফেটে গিয়েছিল। ওই পরিস্থিতি নিয়ে, ওই সময় নিয়ে কথা বলার থেকে বেশি মনে হয়েছিল, সময়টা থেকে বেরিয়ে আসার দরকার।’