লস অ্যাঞ্জেলেস: ক্রীড়া জগতে শোকের ছায়া। প্রয়াত চার বারের অলিম্পিক ডাইভিং চ্যাম্পিয়ন প্যাট ম্যাককর্মিক (Pat McCormick)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৫২ সালে হেলসিঙ্কি অলিম্পিকে প্রথম ডাইভার হিসেবে তিনি ৩ মিটার ও ১০ মিটার ইভেন্টে (স্প্রিংবোর্ড এবং প্ল্যাটফর্ম ইভেন্টে) সোনা জিতেছিলেন। শুধু তাই নয়, ১৯৫৬ সালের মেলবোর্ন অলিম্পিকে ৩ মিটার ও ১০ মিটার ইভেন্টে ফের সোনা জিতেছিলেন প্যাট ম্যাককর্মিক। সেই চার বারের সোনাজয়ী বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডাইভার প্যাট ম্যাককর্মিক ১৯৫৬ সালে দেশের শীর্ষ অপেশাদার ক্রীড়াবিদ হিসেবে জেমস সুলিভান পুরস্কার জিতেছিলেন। অলিম্পিয়ান প্যাট ম্যাককর্মিকের ছেলে টিম ম্যাককর্মিক জানিয়েছেন, বয়সজনিত কারণে মারা গিয়েছেন তাঁর মা। সান্টা অ্যানার অরেঞ্জ সিটিতে গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) মারা গিয়েছেন অলিম্পিকে চার বার সোনা জয়ী ডাইভার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডাইভার প্যাট ম্যাককর্মিক ১৯৫২ সালের হেলসিঙ্কিতে অলিম্পিকে স্প্রিংবোর্ড এবং প্ল্যাটফর্ম ইভেন্টে ডাইভিংয়ে সোনা জিতেছিলেন। তার ঠিক চার বছর পর মেলবোর্নে ১৯৫৬ সালে একই কীর্তির পুনরাবৃত্তি করেন তিনি। মেলবোর্ন অলিম্পিকের পাঁচ মাস আগে প্যাট ম্যাককর্মিকের ছেলে টিম ম্যাককর্মিকের জন্ম হয়। সন্তান জন্মের ছয় মাসের মাথায় অলিম্পিকে অংশ নেন প্যাট। সে বারও জোড়া সোনা নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।
আমেরিকান ডাইভার গ্রেগ লুগানিস ১৯৮৪ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে এবং তারপর আবার ১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিকে ৩ মিটার ও ১০ মিটার ইভেন্টে সোনা জিতে প্যাট ম্যাককর্মিকের কীর্তি স্পর্শ করে ফেলেন।
ম্যাককর্মিক পরবর্তীতে ইন্টারন্যাশনাল সুইমিং হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। অলিম্পিক কেরিয়ার শেষ হওয়ার পর, ম্যাককর্মিক ডাইভিং ট্যুর করেছিলেন এবং ক্যাটালিনা সাঁতারের পোশাকের জন্য মডেলিংও করেছিলেন। তিনি ১৯৮৪ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস গেমসের আয়োজক কমিটিতে বিশেষ দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১০ সালে প্যাট ম্যাককর্মিক এডুকেশনাল ফাউন্ডেশন শুরু করেছিলেন।
অলিম্পিয়ান ম্যাককর্মিক একজন ডাইভার হওয়ার পাশাপাশি অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী ছিলেন। তিনি কিলিমাঞ্জারো পর্বতে আরোহণ করেছিলেন। আমাজন নদীর নীচে ভ্রমণ করেছিলেন, সুইৎজারল্যান্ডে স্কি করেছিলেন, ঘোড়া জাম্পিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। যে কারণে, তাঁর ছেলে টিম বলেন, “তাঁর জীবন ছিল অসাধারণ। তিনি জীবনটা দারুণভাবে উপভোগ করতেন।”